এবার পুজোর বক্স অফিসে তোলপাড় করতে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী, সঙ্গে ১৬ বছর পর জুটি বেঁধে ফিরছেন দেবশ্রী রায়ও। ছবির নাম শাস্ত্রী। সোমবার প্রকাশ্যে এল ছবির ট্রেলার, যদিও হাজির ছিলেন না মহাগুরু। ট্রেলার একেবারে চেনা ছন্দে ফিরছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবারর ছবির ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে পরিচালক পথিকৃৎ বসু জানান, অভিনেতা কেবল পর্দায় নয়, ক্যামেরার পিছনেও সবটা সামাল দিয়েছেন সমানতালে।
দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের ছোট গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘শাস্ত্রী’। আগাগোড়াই জ্যোতিষে বিশ্বাসী মিঠুন অর্থাৎ শাস্ত্রী। তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন দেবশ্রী রায়কে। অথচ মিঠুন যখন জনপ্রিয় জ্যোতিষ হলেন, তাঁর নাম-যশ হল সেইসময় উকে চিনতে পারছে না!
ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী এবং দেবশ্রী রায় ছাড়াও রয়েছেন শাশ্বত চট্টোাপাধ্যায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী, রজতাভ দত্ত, সৌরসেনী মৈত্র এবং সোহম চক্রবর্তী। তবে সোহম কেবল এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ নন, তিনি এই ছবির প্রযোজকও বটে। সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে এই ছবি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে সোহম বলেন, 'আমি যাঁদের যাঁদের অনুরোধ করছি আমাদের এই ছবিতে কাজ করারা জন্য কেউ আমাকে নিরাশ করেননি। সকলে কাজ করতে রাজি হয়ে গিয়েছেন।'
আরও পড়ুন: ‘বাবাই আমি তোর জীবনে এতটা স্পেশাল?’ শ্বেতার গালে আদুরে চুমু, জন্মদিনে হবু বউকে কী উপহার রুবেলের?
সোহমের কথার রেশ ধরে দেবশ্রী রায় বলেন, 'আমি এই ছবিটার আগে যে কটা ছবির জন্য প্রস্তাব পেয়েছি সব কটা না করে দিয়েছি। ভেবেছিলাম এই ছবিটাও আমি না করে দেব। কিন্তু সোহম আসার জন্য অনুরোধ করল। আমি এসে গল্পটা যখন শুনলাম আমার বেশ ভালো লাগলো। আমার মনে হয়েছে যে আগে আমরা যেরকম কাজ করতাম এই কাজে সেই ফ্লেভারটা রয়েছে। আমার মনে হল যে চরিত্রটা হয়তো কয়েকটা জায়গা আরেকটু অন্যরকম করলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আমার সেই ভাবনাটা ওঁদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম ওঁরাও আমার পরামর্শ মত চরিত্রটাকে ওঁরা ঠিক সেই ভাবেই চরিত্রটা গড়ে তুলল। এই কাজটা না করে আমি সরে থাকতে পারলাম না। আর তাছাড়া এই ছবিতে বাড়তি পাওনা মিঠুনদার সঙ্গে কাজ।'
প্রায় ১৬ বছর পর তাঁদের এই ছবিতে আবার একসঙ্গে দেখা যাবে। অভিনেত্রীর মতে, 'দর্শকরাও আমাদের এই মিঠুন-দেবশ্রী জুটি দেখতে পছন্দ করেন। আমার মতে এই ধরনের বাংলা ছবি এর আগে হয়নি। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা বাংলা ছবি দেখবেন ভাবছেন তাঁদের অনুরোধ করব 'শাস্ত্রী' দেখার জন্য।'
আরও পড়ুন: সঞ্জয়লীলা একজন বিভ্রান্ত মানুষ, ওঁর কোনও নীতি নেই, করণের নখের যোগ্যও নন, কেন এমন বলেন করিনা?
অন্যদিকে, ছবির পরিচালক পথিকৃৎ বসু বলেন, 'আমি অনেকের কাছে ছবিটা নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোহমদা (সোহম চক্রবর্তী) এবং রানেদা (নিসপাল সিং রানে) ছবিটি করার জন্য উদ্যোগী হন। মিঠুনদা এখানে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন। শুধু পর্দায় নয়, ক্যামেরার আড়ালেও তিনি ছবিটাকে অর্গানাইজ করেছেন।'
এই বছর পুজোয় শাস্ত্রীর পাশাপাশি মুক্তি পাবে দেবের ‘টেক্কা’, আবির-ঋতাভরী-কৌশানি-শিবপ্রসাদের বহুরূপীও। আশ্চর্যজনকভাবে এই পুজোয় এসভিএফের কোনও ছবি থাকছে না! বক্স অফিসে লড়াই তবে জমজমাট। তবে বাংলা ছবির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে আলিয়া ভাটের জিগরা।