শীঘ্রই পরিণয়বদ্ধ হতে চলেছেন সোনাক্ষী সিনহা-জাহির ইকবাল। আপাতত বিয়ে নিয়েই চর্চায় রয়েছেন সোনাক্ষী-জাহির। কেউ কেউ বলছেন, সোনাক্ষীর বিয়েতে নাকি উপস্থিত থাকবেন না বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা। তবে নাহ, জল্পনা উড়িয়ে মুম্বইয়ের তাজ ল্যান্ডস এন্ডে সেন্সর বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান পহেলাজ নিহালনি সঙ্গে খোশমেজাজে ধরা দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। শোনা যাচ্ছে, ওই হোটেলেই হচ্ছে সোনাক্ষী ও জাহিরের বিয়ের অনুষ্ঠান।
শত্রুঘ্ন সিনহা ও পহেলাজ নিহালনির সেই ছবি উঠে এসেছে লেখিকা, সমালোচক ভারতী এস প্রধানের টুইটে। ভারতীদেবী ছবির ক্যাপশানে লেখেন, কনের বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা ও সোনাক্ষীর 'পহলাজ কাকু'র সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা আগে। ছবিতে এছাড়াও রয়েছেন সঞ্চালক জীতেন দোশী ও ডঃ মণীশ। সিনহা পরিবারে এখন উৎসবের সময়!'
প্রথমে শোনা গিয়েছিল মেয়ের বিয়েতে থাকবেন না শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি এই বিয়েতে বিশেষ খুশি নন। এবিষয়ে জুমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পহেলাজ বলেন, ‘অবশ্যই থাকবেন, কেন থাকবেন না? ও (শত্রুঘ্ন) বেশিক্ষণ মন খারাপ করে থাকতে পারেন না, সোনাক্ষীর উপর তো নয়ই। ও (সোনাক্ষী) শত্রুঘ্নর লাডলি। শাদি নেহি অ্যাটেন্ড করনে কা কোই সওয়াল হি নেহি পয়দা হোতা (বিয়েতে না যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না)।’
সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়েতে শত্রুঘ্ন
সম্প্রতি সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়েতে উপস্থিত থাকার বিষয়ে নিজেই নিশ্চত করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। টাইমস নাও-কে তিনি বলেন, ‘বলুন তো, এটা কার জীবন? এটা আমার একমাত্র মেয়ে সোনাক্ষীর জীবন, যাঁকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত এবং আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি। ও আমার শক্তির স্তম্ভ। বিয়েতে আমি অবশ্যই উপস্থিত থাকব। কেন থাকব ? ওর সুখই আমার সুখ। ওর নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। আমি দিল্লিতে আমার রাজনৈতিক কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলাম। আমি যে এখন মুম্বইয়ে রয়েছি সেটাই তো প্রমাণ করে যে আমি ওর শক্তির স্তম্ভ হয়ে আছি। সোনাক্ষী ও জাহিরকে একসঙ্গে জীবন কাটাতে হয়। একসঙ্গে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে ওদের। যারা ভুয়া খবর ছড়াচ্ছিল তাঁরা এই আনন্দে হয়ত খুবই হতাশ। আমি আমার স্বাক্ষর সংলাপ দিয়ে তাদের সতর্ক করতে চাই, খামোশ, এটা আপনাদের চর্চার কোনও বিষয় নয়। শুধু নিজের কাজে মন দিন'।
প্রসঙ্গত, সোনাক্ষী ও জাহির নিজেদের বিয়ে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। শোনা যাচ্ছে, আগামী ২৩ জুন সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হওয়ার কথা।