বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা, বর্তমানে তিনি আবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং সাংসদও বটে। হ্যাঁ, শত্রুঘ্ন সিনহার কথা-ই বলছিলাম। একসময় তিনি নাকি মিজের চেহারা, লুকের জন্য বিব্রত বোধ করতেন বলে জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সম্প্রতি আরবাজ খানের টক শোয়ে এসে অভিনেতা, রাজনীতিবিদের অকপট স্বীকারোক্তি, নিজেকে সুন্দর করে তুলতে , খুঁত ঢাকতে তিনি নাকি ছুরি-কাঁচি চালাতে প্রস্তুত ছিলেন। প্লাস্টিক সার্জনের সঙ্গে কথাও হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
১৯৬৯ সালে 'সাজন' ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন শত্রুঘ্ন সিনহা। ১৯৭১ সালে গুলজারের ‘মেরে আপনে’ ছবিতে দেখা যায় তাঁকে। ১৯৭৪ সালে দুলাল গুহের 'দোস্ত' ছবিতে অভিনয় করেন। তাঁকে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘রাস্তে কা পাথর’ (১৯৭২) ছবিতে দেখা যায়, এছাড়াও শান (১৯৮০), কালা পাথর (১৯৭৯) সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেন। কেরিয়ায় শুরুর দিকে তিনি নিজের চেহারা ও লুক নিয়ে কীভাবে বিব্রত বোধ করতেন, তা টক শোয়ের প্রমোয় উঠে এসেছে।
শত্রুঘ্ন সিনহা আরবাজ খানকে বলেন, ‘ভীষণই বিব্রত বোধ করতাম, ভাবতাম নিজের কাটাফাটা চেহারা নিয়ে কীভাবে অভিনয় করতে চলে এসেছি। কীভাবে এখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব! প্লাস্টিক সার্জনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল।,আমি ভাবতাম, আমায় এমন মুখ একেবারেই নিখুঁত নয়। ভীষণই চিন্তায় ছিলাম এই চেহারা কীভাবে পর্দায় দেখাব!’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, বলিউডের আইকনিক ছবি দিওয়ার (১৯৭৫) এবং শোলে (১৯৭৫)-তে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথমে তাঁর কাছেই এসেছিল, তবে বিশেষ কারণে তিনি সেগুলি ফিরিয়ে দেন। পরে এই দুটি ছবিই তাঁর বন্ধু অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছিলেন, দিওয়ার, শোলে-র মতো ছবি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি অনুতপ্ত। ভীষণ আফসোস হয়েছিল। দিওয়ার লেখাই হয়েছিল আমার জন্য লেখা হয়েছিল। শ্যুটিং শুরুর প্রায় ৬মাস আগে চিত্রনাট্য এসেছিল। কিন্তু কিছু মতোবিরোধের কারণে তখন এই কাজ ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। একইভাবে, শোলেও আমার করার কথা ছিল। আমার বন্ধু অমিতাভ বচ্চন যে চরিত্রটি করেছিলেন, সেটির জন্য।'