সাত বছরের প্রেম পেয়েছে কাঙ্খিত পরিণিতি। জাহিরে বাঁধা পড়েছেন বলিউডের দাবাং গার্ল সোনাক্ষী সিনহা। বয়স-ধর্ম কিংবা পরিবার কেউই বাধা হয়নি তাঁদের বিয়েতে। রবিবার বিয়ের বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন সোনাক্ষী-জাহির। অথচ এই বিয়ে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
সোনাক্ষীর বিয়ে নিয়ে বিহারে রীতিমতো বিক্ষোভ প্রদর্শিত হচ্ছে। এই বিয়ের পাশে ‘লাভ জিহাদ’ তকমা সাঁটা হয়েছে। বিহারীবাবু শক্রঘ্নর মেয়েকে পাটনায় ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমন দাবিতে সরব বিক্ষুব্ধ জনতা। হিন্দু শিব ভবানী সেনা-র মতো কিছু হিন্দু সংগঠনের তরফে এই বিয়ে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
শক্রঘ্নকে কটাক্ষ করে তাঁর ছেলেদের নাম ‘লব-কুশ’-এর বদলে অন্য কিছু রাখার কথা পর্যন্ত বলা হচ্ছে। এবার ট্রোলারদের একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ। কড়া ভাষায় তিনি বলেন, ‘নিজের চরকায় তেল দিন আপনারা’। বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, ‘আনন্দ বক্সী সাহেব খুব সুন্দর লিখেছেন জানেন তো, কুছ তো লোক কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় ক্যাহনা। এর সঙ্গে আমি যোগ করব, যারা বলছে তাঁদের যদি কাজ-কাম না থাকে তখন বাজে বকাটাই একটা কাজ হয়ে যায়। আমার মেয়ে কোনও অবৈধ বা অসাংবিধানিক কাজ করেনি’।
ওদিকে বিয়ের অফিসিয়্য়াল ছবি এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নেন নবদম্পতি। সোনাক্ষী লিখেছেন, ‘আমরা জানি না কী আছে। আমরা দুজনেই একে অপরকে পেয়ে সত্যিই ধন্য…’।
ছবিতে সোনাক্ষী একটি লাল সাবেকি শাড়ি পরেছেন সোনাক্ষী, যা রবিবার সন্ধ্যায় তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা থেকে তোলা। ফুল দিয়ে সাজানো খোঁপায়, সঙ্গে পান্নার নেকলেস। সাদা কুর্তা ও পায়জামায় জাহিরকেও হ্যান্ডসাম লাগছে।
বিবাহ সম্পর্কে
সোনাক্ষী-জাহিরের প্রেম কাহিনির শুরুটা ভাইজানের হাত ধরে। সলমনের পার্টিতে ৭ বছর আগে আলাপ, সেখান থেকে প্রেম আর বিয়ে। রিসেপশনে পৌঁছেছিলেন সলমন খান, সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সাথে বিদ্যা বালান এবং বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সায়রা বানু সহ বলিউডের এ-লিস্টার তারকারা। বিয়ের প্রত্যেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সোনাক্ষী ও জাহিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হুমা কুরেশি ও তাঁর ভাই। তবে বিয়েতে দেখা মিলেনি সোনাক্ষীর দুই দাদা লব-কুশ।