কঙ্গনা রানাউতের সমর্থনে এগিয়ে এলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর দাবি, তাঁর সাফল্যের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েই কঙ্গনার বিরোধিতায় নেমেছেন বলিউডের একাংশ।
সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পিছনে বলিউডের সুপ্রচলিত ‘নেপোটিজম’ বা পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা রানাউত। হিন্দি ছবির দুনিয়ায় স্টার-সন্তানদের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার সঙ্গে বহিরাগতদের বঞ্চনা নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। আর তাতেই চটেছে বলিউডের একাংশ। একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী ও ছবির জগতের বিশিষ্টরা ‘মণিকর্নিকা’ ছবির নায়িকাকে তুলোধনা করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন এবার বিহারিবাবু।
সম্প্রতি রিপাবলিক টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষকেই দেখছি কঙ্গনার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন, কারণ তাঁরা সকলেই কঙ্গনার সাফল্যকে হিংসা করেন। আমাদের দয়া, আমাদের ইচ্ছা, আমাদের আশির্বাদের পরোয়া না করে, আমাদের দলে না ভিড়ে এই মেয়েটি আমাদের কোনও সাহায্য ছাড়াই অনেক দূর পৌঁছেছে আর এত সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই ওরা এই সাহসিকতা ও সাফল্য দেখে বিরক্ত এবং ঈর্ষান্বিত হচ্ছে।’
কঙ্গনার অভিযোগের রেষ ধরে স্টার-সন্তান হিসেবে আলোচনায় এসেছেন শত্রুঘ্নকন্যা সোনাক্ষী সিনহাও। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করেই কঙ্গনার পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখস্পষ্ট নায়ক।সাক্ষাৎকারে করণ যোহরকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আমলে কোনও কফি উইথ অর্জুন ছিল না। এই ধরনের পরিকল্পনা মাফিক ইভেন্ট থেকেই বিতর্ক ছড়ায়। সেখানে যদিও যাঁদের নিয়ে আলোচনা করা হয় তাঁরা সকলেই আমাদের সমাজেরই সদস্য, কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে অমুককে বয়কট কর, তমুককে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হঠাও, এই ধরনের ফতোয়া সেখানে জারি করা যাবে।’
এর পরেই শত্রুঘ্ন বলে ওঠেন, ‘তোমরা কে হে এই সব বলার? তুমি নিজে কী ভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলে আর এখনও পর্যন্ত জীবনে কী তোমার অবদান?’