সম্প্রতি 'দ্য কপিল শর্মা শো'-এ হাজির হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং শত্রুঘ্ন। দু'জনেই নানান গল্প, আড্ডায় মেতে ওঠার পাশাপাশি একে ওপরের সঙ্গে খুনসুটি করতেও কোনও ভুল হয়নি। বিশেষ করে শত্রুঘ্ন তো প্রকাশ্যেই যুবক বয়সের ধর্মেন্দ্রর নানান 'কীর্তি'-র কথা তুলে রীতিমতো অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন 'গরম ধরম'-কে।
বড়পর্দায় বাইরেও যৌবনে ধর্মেন্দ্রর মেজাজ এবং কীর্তিকলাপ যে বেশ রঙিন মেজাজের ছিল তা ইন্ডাস্ট্রির সর্বজনবিদিত। একাধিক নায়িকার নামের সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী শোয়ের ফাঁকে খুনসুটি চলার মাঝেই শত্রুঘ্ন হঠাৎ করেই রসিকতার মেজাজে ' ধর্ম পাঁজি'-র উদ্দেশে চিৎকার করে বলে ওঠেন, 'জীবনে উনি যত কাজ করেছেন তাঁর থেকে বেশি নাম করেছেন। আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। তার ওপর ওরকম খুনখারাপি সুন্দর দেখতে ছিলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে ওঁর প্রেমের কিসসা! উফফ কত প্রেমই না করেছেন!' হাসতে হাসতে 'বিশ্বনাথ' ছবির নায়ক নিজের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন এক্ষেত্রে তাঁকে কেউ কিছু বলতে পারবেন না কারণ তিনি নিজে সারাজীবন শুধু একজনের সঙ্গেই প্রেম করে গেছেন। এবং সেই মানুষটি হলেন তাঁর স্ত্রী।
স্বভাবতই শত্রুঘ্নর এই মন্তব্যের পর ভারি অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ধর্মেন্দ্র। কোনওরকমে লজ্জা কাটিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্নকে বলে ওঠেন, 'খুব বেড়েছিস তুই। ভারি বদমাশ হয়ে গেছিস আজকাল'। এরপর শত্রুঘ্নকে 'বীরবল 'বলেও ডেকে ওঠেন তিনি। কেন বীরবল কেন? না ধর্মেন্দ্রর যুক্তি তাঁর কাছে এসে নাকি সবকিছু বলে ফেলেন শত্রুঘ্ন। তাই এই নাম। প্রসঙ্গত, মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর। সানি, ববি, বিজেতা এবং অজিতা নামের চার সন্তানকে পরিবারে স্বাগতম জানিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর ১৯৭০ সালে 'তুম হাসিন, ম্যায় জওয়ান' এর সেটে ধর্মেন্দ্রএ সঙ্গে আলাপ হয় হেমা মালিনীর। সেই শুটিং থেকেই শুরু হয় তাঁদের ভালোবাসার গল্প। এরপর বহু বিতর্ক পেরিয়ে ১৯৮০ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা।