এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব নায়ক আদৃত রায়, মানে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সিদ্ধার্থ মোদক। ছোটপর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিকের এই নায়ক কেরিয়ারের শুরুটা কিন্তু করেছিলেন রুপোলি পর্দায় দিয়ে। ‘নূর জাহান’ দিয়ে অভিনয় কেরিয়ার শুরু আদৃতের। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অভিনেতার নতুন ছবি ‘লকডাউন’, যা পরিচালনা করেছেন অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। এই ছবিতে শ্রাবন্তীর সহ-অভিনেতা হিসাবে দেখা গিয়েছে আদৃতকে। লকডাউনের স্ক্রিনিং-এ কো-স্টার শ্রাবন্তীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ আদৃত।
শ্রাবন্তী-আদৃতের রসায়ন ছবির ট্রেলারেই নজর কেড়েছিল। সিনিয়র এই নায়িকাকে নিয়ে উচ্চেবাবু বললেন, ‘শ্রাবন্তীদি সেরা, কোস্টার হিসাবে এইটুকুই বলব’। তাঁকে পালটা বলা হয়েছিল, এটা শুনলে অন্য সহ অভিনেত্রীরা কিন্তু রাগ করতে পারেন। তাতেও নিজের স্টেটমেন্ট থেকে সরে আসেননি আদৃত, উলটে বলেন- ‘অন্যরা রাগ করলে আমি কী করব! উনি সত্যিই বেস্ট… শ্রাবন্তীদির সঙ্গে কাজ করবার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। খুব অল্প দিন শ্রাবন্তীদির সঙ্গে অভিনয় করবার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু কয়েকটা দিনেই আমরা খুব আনন্দ করে কাজ করেছি, গান-বাজনা করেছি, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছি। গিন্টুদি (শ্রাবন্তীর ডাকনাম)-র বাড়ি থেকে খাবার আসত, উনি মেক-আপ রুমে ফোন করে সকলকে ডাকতেন, আমরা সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি… আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা সহ-অভিনেত্রী '।
টলিউড ফোকাস কলকাতা-কে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কারে আদৃত আরও জানান, ‘শ্রাবন্তীদি-র বাড়ি থেকে পোলাও, চিকেন এই সব আসত- আসাধারণ! ওঁনার মতো এত অভিজ্ঞ এবং স্টার অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে এটা সচরাচর দেখা যায় না। রুম থেকে ডেকে নিয়ে এসে একসঙ্গে খাওয়া-গল্প,গুজব করা। এটাই দু’জন অভিনেতার মধ্যে রসায়ন তৈরি করে, তাই না?'
শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘লকডাউন’। আদৃত-শ্রাবন্তী ছাড়াও এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়ে সোহম-রাজনন্দিনী, এবং ওম-মানালি। পুরোদস্তুর থ্রিলারে মোড়া এই ছবির কাহিনি। লকডাউনের সময় মানুষের বদলে যাওয়া সাইকোলজি এবং আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিই এই কাহিনি রসদ। তিনটি ভিন্ন কাহিনি একসঙ্গে এগিয়ে চলবে, তবে ছবির শেষে সেগুলি মিলে যায়। চরিত্রগুলি কীভাবে এক হবে, সেটাই এই ছবির মূল উপজীব্য।