অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং প্রয়াত ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সবথেকে বড় সইফ আলি খান। এক সাক্ষাৎকারে বড় ছেলে সইফ সম্পর্কে শর্মিলা বলেছিলেন, ছোট থেকে ভীষণ ‘স্বতঃস্ফূর্ত’। মায়ের মন্তব্য বুঝতে না পেরে মজার জবাব দিয়েছিলেন সইফ।
১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সইফ আলি খান। তাঁর দুই ছোট বোন, যথাক্রমে ১৯৭৬ সালে সাবা আলি খান এবং ১৯৭৮ সালে সোহা আলি খান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এক পুরানো সাক্ষাত্কারে, শর্মিলা ঠাকুর বলেছিলেন সইফকে সামলানো মোটেই সহজ ছিল না। ছোটবেলা থেকেই নিয়ম-কানুনের ধারধারে ছিলনা সে। আরও পড়ুন: Sharmila Tagore: ১২ বছর পর পর্দায় কামব্যাক শর্মিলা ঠাকুরের, সৌজন্যে ‘গুলমোহর’
২০১২ সালে ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সইফকে দেখার পর আমার মনে প্রথম ভাবনাটা এসেছিল, সে দেখতে সুন্দর এবং আদুরে। কিন্তু শুরু থেকেই ও পুরোটা নিজের মতো ছিল। ওকে বড় করা সহজ ছিলনা। ও খেলায় সময় সব সময় নিয়ম ভাঙত, এই অভ্যেসটা ওর আগাগোরাই ছিল। ওকে সামলানোটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। খুব দুষ্টু এবং বুদ্ধিমান ছিল। খুব আবেগপ্রবণ এবং স্বজ্ঞাত ছিল। প্রতিটা পরিস্থিতি দ্রুত সামলাতে জানত। তখন খুব ব্যস্ত থাকতাম। ওর ১ থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত আমি ডবল শিফটে শ্যুটিং করতাম। তাই ওকে স্কুল থেকে নিয়ে আসা-দিয়ে আসা আমার পক্ষে চাপের ছিল।’
সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে সইফ আলি খানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, শর্মিলা ঠাকুর বলেছিলেন তিনি খুব স্বতঃস্ফূর্ত বাচ্চা ছিলেন। অভিনেতা বলেন, ‘এর মানে কী? তার মানে কি সে আমাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পেয়েছিল? এটা তো একটা সীমারেখা পাড় করার ভুলের মতো। উনি বলুক আমি কী ভুল করেছি?’
সইফকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি সবচেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত কাজ কী করেছেন? একটু চুপ থেকে অভিনেতার উত্তর, ‘আসলে, বেশ কিছু জিনিস আছে। একটু সাবধানে থাকার চেষ্টা করছি। বলা তো যাবে না।’