সুশান্তের আত্মহত্যা নিয়ে মঙ্গলবার অভিনেতার শহর পাটনায় বসেই বেশ কিছু প্রশ্ন তুললেন শেখর সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন অভিনেতা শেখর সুমন, মঙ্গলবার পাটনায় সাংবাদিক সম্মলনেও ফের একবার সেই দাবি তুললেন শেখর। সম্প্রতি 'জাস্টিস অফ সুশান্ত ফোরাম'ও লঞ্চ করেছেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক সম্মলনে হাজির ছিলেন বিহারের বিরোধী দলনেতা (আরজেডি) তেজস্বী যাদবও।
শেখর সুমনের দাবি ‘সুশান্তের আত্মহত্যার মামলাটি সাধারণ ওপেন এবং শাট কেস নয়’। এই ঘটনার বেশ কিছু মিসিং লিঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘সুইসাইড নোট মেলেনি এবং ডুপ্লিকেট চাবির খোঁজ মিলছে না এবং সুশান্ত এক মাসে ৫০টি সিম কার্ড বদলেছেন’। তিনি আরও জানান,'যে ছেলেটা রাতে পার্টি করল, সকালে উঠে সে প্লে স্টেশনে ছিল, যে এক গ্লাস জুস চাইল, তার আচমকা এমন কী মনে হল যে,ঠিক করে নিল যে , চল এখনই উঠে গিয়ে সুইসাইড করা যাক!'
শেখর সুমন আরও যোগ করেন, তিনি বলছেন না এটা সুইসাইড নয়, তবে সবদিক খতিয়ে দেখা দরকার। পাশাপাশি যদি ৩৪ বছরের এক সম্ভাবনাময়,প্রতিভাবান অভিনেতা নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়,তাহলে সেই সিদ্ধান্তের পিছনে কারা দায়ি? তাদেরকেও খুঁজে বার করা জরুরি।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম প্রসঙ্গে পাটনার এই অভিনেতা বলেন, শাহরুখ খান এবং আমার পর একমাত্র সুশান্তই একজন অভিনেতা যে টেলিভিশন থেকে কেরিয়ার শুরু করে রুপোলি পর্দায় উঁচু উড়ান উড়েছে। বলিউডের বড় মাথাদের ইগোর পরোয়া কোনওদিনই সে করেনি। অনেকেরই হয়ত চোখের বালি ছিল সে'।
যদিও বলিউডের কারুর নাম উল্লেখ করেননি শেখর সুমন। বলেন, 'উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া কারুর নাম নেওয়া সঠিক নয়, সেই কারণেই তো আমি সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি'।
টুইট বার্তায় পাটনা পৌঁছানোর আগেই শেখর জানিয়েছিলেন সিবিআই তদন্তের দাবি জোরালো করতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। যদিও এদিন অভিনেতা জানান, করোনা সংকটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নাকি কারুর সঙ্গেই সাক্ষাত্ করছেন না,এমনটাই জানানো হয়েছে তাঁকে। শেখর যোগ করেন, এই ক্ষেত্রে আমার আর তেজস্বির কোনও ভয় নেই। আমি তাঁকে এই ব্যাপারে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি,উনি রাজি হয়েছেন'।
এর আগে সোমবার সুশান্তের পাটনার বাড়িতে হাজির হয়ে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন শেখর সুমন। টুইটারের দেওয়ালে সুশান্তের বাবা কেকে সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করে শেখর সুমন লেখেন, সুশান্তের বাবার সঙ্গে দেখা করলাম,ওঁনার দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করলাম..আমরা বেশ কয়েক মিনিট বসেছিলাম কোনও কথা না বলে…উনি এখনও প্রচন্ড একটা শকের মধ্যে রয়েছেন….আমার মনে হল মৌন থেকেই ওঁনাদের সঙ্গে সহমর্মী হওয়া যাবে'।