একে বলে বিনা মেঘে বর্জ্রপাত! আচমকাই এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে নিজের ছেলের আত্মহত্যার ভুয়ো খবর দেখে ‘বিধ্বস্ত’ অভিনেতা, সঞ্চালক শেখর সুমন। একটি সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়, শেখর পুত্র অধ্যয়ন নাকি আত্মহত্যা করেছেন। শেখর একাধিক টুইট বার্তায় জানান সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে, এবং এই কাজটি ‘ক্ষমার অযোগ্য’।
সেই ভুয়ো খবরের ভিডিয়ো পোস্ট করে শেখর লেখেন, যখন এই খবর সম্প্রচারিত হয় তাঁর ছেলে দিল্লিতে ছিল এবং তাঁকে সেই সময়ের জন্য ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েক মুহূর্তের জন্য পরিবারের বাকি সদস্যদের ‘হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল’।
শেখর সুমন আরও লেখেন, এই ধরণের খবর কে কারুর পক্ষে ধ্বংসাত্মক হতে পারে'। তিনি জনসমক্ষে সেই চ্যানেলকে ক্ষমা প্রার্থনা করার উপদেশ দেন। পাশাপাশি জানান, এই ভুয়ো খবর সম্প্রচারের জন্য ওই চ্যানেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এটা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ, এবং কোনওভাবেই এই কাজের সাফাই দেওয়া যায় না।
যে ভিডিয়ো লিঙ্ক শেখর সুমন পোস্ট করেছেন, সেখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে শেখর সুমনের বড় ছেলের মৃত্যু মাত্র ১১ বছর বয়সে হয়ে যায়। এবং ছোট ছেলে অধ্যয়ন আত্মহত্যা করে নেয়। ছেলেদের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠা সহজ ছিল না শেখরের কাছে।
একথা ঠিক যে শেখর সুমনের বড় ছেলে আয়ুষের মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ১১ বছর বয়সে, হার্টের সমস্যার জেরে অকালেই চলে যেতে হয় তাঁকে, দাদার মৃত্যুর পর দীর্ঘ একটা সময় মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অধ্যয়নকে। এই কথা নিজেই জানিয়েছেন ‘রাজ’ অভিনেতা।
২০১৬ সালেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন অধ্যয়ন। প্রাক্তন প্রেমিকা ড্রাগ অ্যাডিক্ট ছিল একথা বলেছিলেন অভিনেতা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর নতুন করে মাথাচাড়া দেয় এই বিতর্ক। অধ্যয়নের মন্তব্যের ভিত্তিতে কঙ্গনার মাদকাসক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখবার কথা গত সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার।
কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে একটা সময় জড়িত ছিলেন অধ্যয়ন। ২০০৮ সালে হাল-এ-দিল ছবির সঙ্গে তাঁর বলিউড সফর শুরু। অধ্যয়নের কেরিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি ‘রাজ : দ্য মিস্টির কন্টিনিউস’। সেভাবে বি-টাউনে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেননি অধ্যয়ন। ২০১৬ সালের পর আচমকাই বলিউড থেকে গায়েব হয়ে যান, সম্প্রতি ‘আশ্রম’ ওয়েব সিরিজে দেখা মিলেছে শেখর সুমন পুত্রের।