পর্দার জন্য, চরিত্রের প্রয়োজনে, তাঁকে হাসতে হয়, হাসাতেও হয়। তবে বাস্তবে তাঁর জীবন দুঃখে ভরা। সেই কঠিন সত্যি, দুঃখ বুকে চেপেই কাজ করে চলেছেন অভিনেতা শেখর সুমন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চিরকালের জন্য হারিয়ে যাওয়া ছেলে আয়ুশকে নিয়ে কথা বলেছেন শেখর। যে আয়ুশকে মাত্র ১০ বছর বয়সেই চলে যেতে হয়েছিল।
সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে কথা বলার সময় হারিয়ে যাওয়া ছেলে আয়ুশকে নিয়ে কথা বলেন শেখর সুমন। জানিয়েছেন, তিনি বড় ছেলেকে হারানোর পর কীভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। শেখরের কথায়, ‘মুঝে জিনা হি না থা (আমি তো বাঁচতেই চাই নি)। আমি আমার হৃদয়ের একটি অংশ হারিয়েছি যেটা আমার সবথেকে কাছের, সবচেয়ে প্রিয় ছিল। অর মেন জমিন পার সার পাটাক কে রোয়া থা (মাথা ঠুকে কত কেঁদেছি)। ফির উসকে বাদ মুঝে জিনে কি ইচ্ছা ভি না থি (একসময় বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই হারিয়ে ফেরেছিলাম)।'
আবেগতাড়িত শেখর বলেন, ‘আমার মধ্যে আসলে সেই প্রাণটাই নেই। আমি আসলে প্রাণহীন একটা দেহ মাত্র। শুধু সংসারের প্রয়োজনে, অর্থনৈতিক চাপে পড়ে আমায় হাসাতে হয়। আমাকে তো সংসারটাও চালাতে হবে।’
প্রসঙ্গত শেখর সুমন তাঁর বড় ছেলে আয়ুশকে কে হারিয়েছিলেন ১৯৯৫ সালে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১০ বছর। ১৯৮৩ সালে অলকা সুমনকে বিয়ে করেছিলেন শেখর সুমন। তাঁদের দুই সন্তান অধ্যায়ন সুমন ও আয়ুশ সুমন। এদের মধ্যে আয়ুশ বড়। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১০ বছবর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আয়ুশের।
কাজের ক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই নেটফ্লিক্সের সিরিজ 'জুলফিকর'-এ দেখা যাবে শেখর সুমনকে। এই ছবির অন্যান্য চরিত্রে মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, রিচা চাড্ডা, সঞ্জিদা শেখ এবং শরমিন সেগাল, ফরিদা জালাল, তাহা শাহ বদুশা, ফারদিন খান এবং অধ্যয়ন সুমন অভিনয় করেছেন। এছাড়াও সঞ্জয়লীলা বনশালির ‘হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’-এও দেখা যাবে তাঁকে।