লকডাউনে জীবন এখন ধীরগতিতে চলছে।যদিও জীবনের ব়্যাট রেসে দৌড়াতে দৌড়াতে অনেক মানুষই হাঁফিয়ে উঠেছে।তাঁদের জন্য এক আত্মবিশ্লেষণের সময়। হাত এবং আশপাশের জিনিসপত্র স্যানিটাইজ করবার পাশাপাশি অন্তর আত্মার স্যানিটাইজেশন জরুরি,এমনটাই মনে করছেন অভিনেতা শেখর সুমন। ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন অভিনেতা।
৩০ বছরের অভিনয় জীবন শেষে অনেকটাই ক্লান্ত শেখর সুমন। তিনি জানালেন, ‘এটা আমার জীবনের একটা বিশ্রাম পর্ব চলছে। স্টুডিও থেকে আমি অনেকদিন থেকেই বিরাম চাইছিলাম। তাই গত বছর আমি স্টুডিও থেকে ব্রেক নিয়ে নিয়েছি’।
জীবনেরে ছোট ছোট খুশির মধ্যেই এখন আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন মুভার্স অ্যান্ড শেখরস খ্যাত এই তারকা। লকডাউনে ঠিক কী কী করছেন?
শেখর সুমন জানালেন, ‘মায়ের জন্য রান্না করছি, মেয়ের সঙ্গে টিকটক বানাচ্ছি,ছেলের (অধ্যায়ান)সঙ্গে খুনসুটি চলছে,একসঙ্গে জিম করছি, বউয়ের কাছে বকা খাচ্ছি। এক কথায় ওয়াইফ আর ওয়াই-ফাইয়ের মধ্যে আটকে আছি। জীবনের সম্পর্কের মধ্যেই থেকেই খুশি আছি। বাড়ির নীচে গিয়ে গাড়িতে বসে ওখানেই গোলগোল চক্কর খাচ্ছি-এইভাবেই দিন কাটছে’।
দিলীপ কুমার, দেব আনন্দের মতো তারকাদের নিয়ে এদিন নস্ট্যালজিক শেখর কুমার। কথা বললেন তাঁদের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত আলাপচারিতা নিয়ে। লকডাউনে সবচেয়ে জরুরি কোন জিনিসটা তিনি শিখলেন,অকপট শেখর সুমন জানান-‘জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়, করোনা আমাদের সব চাওয়া-পাওয়া ভুলিয়ে জীবনের মূল্য শিখিয়ে দিচ্ছে। অন্যের থেকে নিজেকে সেরা ভাবাটা কতটা ভ্রান্ত তা বুঝিয়ে দিচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত জনপ্রিয় টক শো মুভার্স অ্যান্ড শেখারস হোস্ট করেছেন শেখর সুমন। একাধিক কমেডি শোয়ের বিচারকের আসনেও দেখা মিলেছে তাঁর। রূপোলি পর্দায় তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জয় দত্তের ভূমি ছবিতে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।