চর্চায় 'হীরামান্ডি'। সঞ্জয় লীলা বনশালির এই ম্যাগনাম ওপাস-এ অভিনয় করে আলোচনায় রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা শেখর সুমন। যার অন্যতম কারণ 'ওরাল সেক্স' বা মুখমেহনের দৃশ্য। 'মল্লিকাজান' মনীষা কৈরালার সঙ্গে সেই দৃশ্যটি নাকি এক টেকে ওকে করেছেন 'নবাব জুলফিকার' ওরফে বছর ৬১-র শেখর সুমন। যদিও নাকি এই দৃশ্যটি চিত্রনাট্যের অংশই ছিল না, সবটাই পরিচালকের তাৎক্ষণিক মস্তিস্ক প্রসূত।
সম্প্রতি এই দৃশ্যের শ্যুটিং নিয়ে অকপটে কিছু সত্যি কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শেখর। অভিনেতা জানিয়েছেন, দৃশ্যটি শ্যুট করার পরে, তিনি এই বিষয়টি স্ত্রীকেও বলতে পারেননি, কারণ তাঁর সেসময় মনে হয়েছিলি, ‘ইয়ে বাতানে লায়ক নেহি থি’। শেখর সাক্ষাৎকারে জানান, দৃশ্যের শ্যুট শেষ করে বাড়ি ফেরার পর ওইদিন কী শ্যুটিং হয়েছে সেকথা রোজকার মতোই তাঁর স্ত্রী অলকা তাঁকে জিগ্গেস করেছিলেন। তবে তিনি বলেননি। কেন শ্যুটিং নিয়ে স্বামী কিছু বলছেন না, অলকা এই অভিযোগ করলে শেখর বলেন, ‘ওহ বাতানে লায়াক হ্যায় হি না অউর করকে দিখানে লায়ক তো বিলকুল ভি নেহি। ওহ তুম সিধা হি দেখ লেনা'।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বনশালির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে শেখর সুমন বলেছিলেন, পরিচালক এমন কিছু করবেন, যেটা হয় কেউ ভাবতেও পারবেন না। তাই যখন 'ওরাল সেক্স'-এর কথা বলা হয়েছিল, তখন প্রাথমিকভাবে সেকথা শুনে উপস্থিত কুশলীরা অবাক হয়ে গিয়ছিলেন। তবে শেখর সেটা এক টেকেই ওকে করেন। শেখরের কথায়, তখন বনশালি ছুটে এসে তাঁকে বলেছিলেন, ‘অসাধারণ, আজকের মতো প্যাক আপ!’
শেখরের কথায়, ওই দৃশ্য এক টেকে ওকে না হলে, বনশালি ওই শটটি বারংবার নিতেই থাকতেন। রগরগে সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুট তাই অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছিল। গোটা টিম তাই সেদিনকার মতো নিস্তার পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত সঞ্জয়লীলা বনশালির 'হীরামান্ডি' গত ১ মে থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে। হীরামান্ডি ১৯৪০ সালের প্রেক্ষাপটে গণিকাদের জীবনকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছিল। এদেশ তখনও স্বাধীন হয়নি। 'হীরামান্ডি'তে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দারি, শারমিন সেগাল, তাহা শাহ বদুশা, ফারদিন খান, অধ্যয়ন সুমন, ফরিদা জালাল সহ অন্যান্যরা।