১৯ অগস্ট গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রাখিবন্ধন উৎসব। এদিন বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে, ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করেন। বর্তমানে যুগে বোনে ও দিদিরা নিজদের মধ্যেই রাখী বেঁধেও দিনটি উদযাপন করেন। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই তারকারাও। বলিউডের এই দুই নায়িকা বোন, ভাইয়ের অভাব বোধ করতে রাজি নন এক ফোঁটাও। একে-অপরকে রাখি পরিয়েই করলেন রক্ষা করার অঙ্গীকার।
এরা হলেন শিল্পা আর শমিতা শেট্টি। শিল্পা-শমিতা ঐতিহ্য মেনে এই দিনটি পালন করছেন। বছরের পর বছর কীভাবে তাঁদের সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়েছে, রাখীর দিনে সে কথাই ভাগ করে নেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা আজ দু'জনে কীভাবে আজকের দিনটি উপভোগ করছেন তাও জানান।
ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার স্ত্রী শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা প্রতিবছর রাখী উৎসব উদযাপনের প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা আজ আমাদের বোনদের বাড়িতে যাই, একসঙ্গে মজা করে ভালো সময় কাটাই এবং তারপর বাড়ি ফিরি। যেহেতু আমি একজন পাঞ্জাবিকে বিয়ে করেছি, তাই এখন আমি যে কোনও উৎসবই আরও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করি।'
আরও পড়ুন: নাকে অপারেশন, ঠোঁটে ফিলার করে বলিউডে পা!পুরনো ছবির সঙ্গে কত অমিল শ্রীদেবী কন্যার
অন্যদিকে, শমিতা রাখীতে তাঁর বড় বোন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু আমি একা থাকি, তাই যে কোনও উৎসবই আমি আমার পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে বেশি পছন্দ করি। আমি মুনকির (শিল্পার ডাকনাম) বাড়িতে আসি এবং তাঁদের সঙ্গে এই দিনটা কাটাই। একটা বিষয় ছোট থেকে আমাদের মধ্যে গেঁথে দেওয়া হয় যে, ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে হয়, কারণ সে ছেলে, আর ছেলেরাই রক্ষা করে। কিন্তু আমার দিদি আমার সব বিপদে আমার পাশে থাকে, সব কিছু থেকে আমাকে রক্ষা করে। তাই কখনই আমি ভাইয়ের অভাব বোধ করি না।’
আরও পড়ুন: ম্যাথিউ পেরির মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়! এক চিকিৎসক-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল
তাঁর বোনের সঙ্গে সহমত হয়ে শিল্পা বলেন, 'যাই ঘটুক না কেন, আমরা সব সময় একে অপরের পাশে থাকি, আর সেটা থাকতেও হবে। এই মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছি। তাই রাখির দিনও আমরা একসঙ্গে থাকি। শুধু রাখির বন্ধন নয়, আমাদের এই রক্তের বন্ধন আমাদের একত্রে বেঁধে রাখে।'
শৈশবের নানা সুন্দর স্মৃতির কথা স্মরণ করে মজার ছলে শমিতা বলেন, ‘আমাদের বোনদের মারামারির অনেক স্মৃতি রয়েছে। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পরিপক্কতা এসেছে, আমরা একে অপরকে বুঝতে পেরেছি এবং সত্যিই একে অপরের জন্য আছি সব সময়।’
শিল্পা বলেন, ‘ছোটবেলায় এই রকম তো চলতেই থাকে, কিন্তু বড় হয়ে সেই সময়টা ফিরে দেখলে বোঝা যায় যে, সেই সময়টা কতটা সুন্দর ছিল। তবে এই সময়টাও কম সুন্দর নয়। সেই সময় আমাদের মধ্যে নানা মনমালিন্য হত, তখন আমি ভাবতাম বড় হয়ে আমরা একদিন ঠিক ভালো বন্ধু হব। তাই আমি ওঁর বড় হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করতাম। আমাদের সম্পর্ক সত্যিই অনেকটা বদলেছে। এর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, আমরা একে অপরকে ছাড়া এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না।’