বহু বছর ধরে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, তৈরি করেছেন 'বেলাশেষে', 'পোস্ত', 'প্রাক্তন'-এর মতো ছবি। এই ছবিগুলি যেমন দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে তেমনই বক্সঅফিসেও করেছে বেশ ভালো ফল। তবে শিবপ্রসাদের মতে, তাঁর আসন্ন সিনেমা 'বহুরূপী' তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা ছবি হতে চলেছে। এই ছবিটি তাঁর জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত দুটি ছবি চলতি বছরে মুক্তি পেতে চলেছে প্রেক্ষাগৃহে তার মধ্যে একাটি হল 'আমার বস'। আর অন্যটি হল এই 'বহুরূপী'। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পুজোর সময় প্রেক্ষাগৃহে এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এই ছবিটি কেন শিবপ্রসাদের এত কাছের? সে প্রসঙ্গে তিনি এক সংবাদ মাধ্যমকে নানা কথা জানান।
আরও পড়ুন: বোটক্স নিয়ে কথা! কেন তারই মাঝে ‘সেদিনের নায়িকা’ রাধিকা মদন টানলেন করিনা প্রসঙ্গ
একজন পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতা হিসাবে তাঁর বিরাট কর্মজীবন হওয়ার সত্ত্বেও, তিনি এই ছবি নিয়ে খুবই উৎসাহী। কারণ, এই ছবি পুজোয় মুক্তি পাবে আর এই প্রথম পুজোর কোনও ছবিতে তিনি প্রধান ভূমিকায়। তাই তিনি ছবি মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।প্রসঙ্গত, গতবছর পুজোয় তাঁর পরিচালিত ছবি 'রক্তবীজ' বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি দর্শক এবং সমালোচকদের কাছে খুব প্রশংসাও পেয়েছিল।
তবে শুধু পুজোয় মুক্তি বলেই নয়। শিবপ্রসাদ এই ছবিতে অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। এই প্রথমবার তাঁদের ছবিতে কাজ করতে চলেছেন কৌশানি। তাছাড়া 'বহুরূপী'তে তাঁরা প্রথমবারের মতো জুটিও বাঁধতে চলেছেন। ছবির প্রথম লুক প্রকাশ্যে আসতেই যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন শিবপ্রসাদ।
তাছাড়াও নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই ছবিটি বেশ বড় স্কেলে তৈরি হয়েছে সেই আভাসও দেন পরিচালক। টাকি, হাসনাবাদ, আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বোলপুর, লাভপুর, নৈহাটি এবং ব্যারাকপুর-সহ রাজ্যের মোট ৮৪টি স্থানে প্রায় ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে শুটিং করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে শিবপ্রসাদ বলেন, 'এটা এখন পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি।'
প্রসঙ্গত, শ্যুটিং চলাকালীন আহত হন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ছবির শ্যুটিং চলছিল ব্যারাকপুরে। একটি অ্যাকশনের দৃশ্যে শ্যুট করার সময় কোমরে চোট পান শিবপ্রসাদ। ফ্লোরে সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়ও। তারপর প্রায় একমাস পর আবার সেটে ফেরেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এরকম হবে তা আমরা কেউই ভাবিনি। যাই হোক, তারপর এক মাস বিরতির পর, আবার আমরা কাজ শুরু করি এবং প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে শুটিং শেষ ফেলি।'