‘চুল না কাটলে ভেবলি (স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের ডাকনাম) বলেছিল দেখা করবে না, তাই কাটতে হয়েছে…’, মুখে সলজ্জ হাসি। শিশুসুলভ সারল্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে অকপটে একথা শিকার করে নিলেন ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ শিলাজিৎ মজুমদার। টলিউডের আকশে-বাতাসে ভেসে বেড়ানো গুঞ্জনে হাওয়া দিলেন গায়ক নিজেই। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব নিয়ে এখন নানান ফিসফিসানি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। আরও পড়ুন-গায়েব মাথার টাক,পাকা চুল! এক ঝটকায় বয়স কমল, কোন সুন্দরীর টানে শরীরে বদল আনলেন শিলাজিৎ
অযোগ্য মুক্তির দিন কয়েক আগেই শিলাজিৎ-এর ট্রান্সফরমেশন চমকে দিয়েছিল সকলকে। সবটাই ঘটেছিল স্বস্তিকার ইচ্ছেতে। মাস দুয়েক আগে এক ঘরোয়া আড্ডায় স্বস্তিকা-শিলাজিতের রসায়ন নজর কাড়ে। বারো বছর পর হঠাৎ দেখা, আর সেখান থেকেই আচমকাই গভীর বন্ধুত্ব। এই প্রসঙ্গে অযোগ্যর স্ক্রিনিংয়ে শিলাজিতের কাছে প্রশ্ন রাখা হলে গায়ক বললেন, ‘স্বস্তিকার সঙ্গে যখন আমার প্রথম আলাপ, তখন স্বস্তিকা অনেক ছোট ছিল। আমিও ছিলাম। যদিও আমি ওতোটাও ছোট ছিলাম না, তখন আমার প্রায় ৪০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে, স্বস্তিকা সেটা বিশ্বাস করেনি, বুঝতেও পারেনি'।
গড়গড়িয়ে ‘ঝিন্টি’র স্রষ্টা বলে চলেন, 'স্বস্তিকার সঙ্গে এতদিন পর যোগাযোগ নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। তবে আমি একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই যে এতদিন পর ও আমাকে বলতে পারছে, 'দাড়িটা কাটতে হবে না হলে আমি দেখা করব না’। সেটা থেকে বুঝতে হবে, প্রেম হলে এটা কতদিন টিকতো আমি জানি না। কিন্তু এটা ভালবাসা ছাড়া সম্ভব না, বন্ধুত্ব ছাড়া সম্ভব না। এই বন্ধুত্বটা আমাদের আছে, সেটা তখনও ছিল এখনও আছে'।
সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একে অপরকে নিয়ে কেউ পজেসিভ নই, বন্ধুর মত থাকি, কথা বলি'। ১৮ বছর বয়সে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। সংসার ভাঙে বিয়ের দু-বছরের মাথায়। তারপর থেকে গত ২৪ বছর ধরে ঝুলে স্বস্তিকার ডিভোর্স মামলা। একা হাতে মেয়ে অন্বেষাকে মানুষ করেছন অভিনেত্রী। দীর্ঘ সময়ে টলিউডের বহু নায়ক, পরিচালকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক চর্চায় থেকেছে। তবে শেষ পর্যন্ত তা টেকেনি। মেয়ে অন্বেষাকে ঘিরেই স্বস্তিকার জীবন। মেয়ে এখন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত।
একা মা স্বস্তিকার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে শিলাজিৎ বললেন, 'আমার মনে হয়, স্বস্তিকা এত স্ট্রাগল করে যেখানে পৌঁছেছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। ও এত ভাল সুন্দর ট্যালেন্টেড একজন অভিনেত্রী , কিন্তু আমার মনে হয় ওঁর কপালটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে খারাপ, কারণটা বলবো না। নিজের কাজের জায়গায় সবকিছু ঠিক করেছে, কিন্তু আমার মনে হয়, আরও ভাল একটা (ব্যক্তিগত) জীবন ওঁর প্রাপ্য ছিল।’