হোলিকা দহন, বাংলায় যাকে বলে কিনা ন্যাড়াপোড়া। অসুরা হোলিকাকে পোড়ানোর মাধ্যমে হোলি বা দোলের আগের দিন এই বিশেষ রীতি পালন করা হয়। অর্থাৎ যা কিছু খারাপ তা জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়া। সোমবার ভারতের বেশকিছু অংশে পালিত হয় এই রীতি এবং বাকি অংশে মঙ্গলবার উদযাপিত হবে। সোমবার নিজের মুম্বইয়ের বাড়িতে শিল্পা শেঠি তাঁর মা, স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে এই রীতি পালন করেন। অভিনেত্রী হোলিকা দহনের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানানোর পরও মিলল নেটপাড়ার নেতিবাচক আক্রমণ।
শিল্পার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শিল্পা একটি গোলাপী সালোয়ার স্যুট পরে হোলিকার সামনে হাত জোড় করে প্রার্থনা করছেন, বিশেষ রীতি ও আচার পালন করেছেন। তাঁকে আগুনের মধ্যে শস্য নিক্ষেপ করে চারপাশে পরিক্রমা করতে দেখা যাচ্ছে। ছেলে বিভানকে নীল জ্যাকেটের সঙ্গে সাদা কুর্তা পায়জামায় দেখা যাচ্ছে, সামিশাকেও নীল কুর্তা এবং সাদা পায়জামা পরিয়েছেন অভিনেত্রী।
শিল্পা লিখেছেন, হোলিকা দহন। আমরা একটা চিরকুটে আমাদের সমস্ত নেতিবাচক অনুভূতি, চিন্তাভাবনা লিখে সেটা পুড়িয়ে দিই। যেন এটি প্রেম এবং আলো হিসাবে মহাবিশ্বে মিশে যায়। এটি হল একটি আচার, যা আমরা প্রতি বছর হোলিকা দহনে করি। এই উৎসব মনে করিয়ে দেয় বিশ্বাস এবং ভক্তি থাকলে ঈশ্বর সর্বদা আপনাকে রক্ষা করেন। আপনি সর্বদা মন্দ জ্বলন্ত নেতিবাচকতাকে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলবেন এবং আপনার জীবনকে ইতিবাচকতা এবং ভালবাসার রঙে পূর্ণ করবেন। এই হোলি আপনার এবং আপনার প্রিয়জনদের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি এবং মহান স্বাস্থ্য নিয়ে আসুক। আপনাদের সবাইকে হোলির শুভেচ্ছা।
শিল্পা তাঁর পোস্টে ভালোবাসার বার্তা দিলেও দুনিয়ায় মন্দ লোকের অভাব নেই। শিল্পার এই পোস্ট নিয়েও শুরু হয়েছে নানান চর্চা। কেউ মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘হিন্দু ধর্মে বাঁশের লাঠি পোড়ানো নিষিদ্ধ ..হ্যাপি হোলি’। কেউ বলেছেন, ‘আগে নিজের জুতো খুলুন’ তবে সবাই যে মন্দ কথা বলেছেন তাও নয়। কেউ লিখেছেন, অন্তরে আরও শক্তি, সাহস, শক্তি আসুক এবং সর্বদা সুস্বাস্থ্য থাকুক... আরও রঙ এবং শান্তি আসুক... শুভ হোলি!' কেউ বলেছেন, ‘এই কারণেই আমি আপনাকে পছন্দ করি কারণ, আপনি সমস্ত আচার পালন করেন।’
প্রসঙ্গত শিল্পাকে ওটিটিতে পা রাখতে চলেছেন। তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্স-এ দেখা যাবে তাঁকে। রোহিত শেঠির পরিচালনায় একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি, এছাড়াও সেখানে রয়েছে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং বিবেক ওবেরয়।