'বোনের গায়ের রঙ ফর্সা তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম', অকপট স্বীকারোক্তি শিল্পার

শিল্পার চেয়ে সাড়ে তিন বছরের ছোট শমিতা শেট্টি। শিল্পা জানিয়েছেন, 'ছোটবেলায় রাতে শমিতা ঘুমাতো আমি চিমটি কেটে ওকে কাঁদিয়ে দিতাম'।

ছোটবেলায় বোন শমিতাকে চিমটি কেটে কাঁদিয়ে দিতেন শিল্পা (ছবি-ইনস্টাগ্রাম)

বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক তারকা রয়েছেন যাঁদের পদচিহ্ন অনুসরন করে তাঁদের ভাই-বোনেরাও রূপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছেন। তেমনই এক তারকা শিল্পা শেট্টি। শিল্পার বোন শমিতা বয়সে সাড়ে তিন বছরের ছোট শিল্পার চেয়ে। এমনিতে দিদি-বোনের খুব ভাব তবে মেয়েবেলায় সবসময়ই তেমনটা ছিল না। শিল্পা সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন ছোটবেলায় বোনের প্রতি খুব হিংসা হত তার, কারণ শিল্পার চেয়ে শমিতার গায়ের রঙ ফর্সা। শিল্পা জানান, 'বাবা বলে বোন হওয়ার পর প্রথম একবছর আমি ভাবতাম আমাকে বোধহয় বাবা-মা কম ভালোবাসে। শমিতার গায়ের রঙ আমার চেয়ে অনেক উজ্বল। বোন ফরসা হওয়ায় সেই সময়টা আমি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছিলাম। মাকে প্রশ্ন করতাম তুমি কেন আমাকে কালো আর বোনকে ফর্সা বানিয়েছো? যখন রাতে সমিতা ঘুমাতো আমি চিমটি কেটে ওকে কাঁদিয়ে দিতাম'।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবটাই পাল্টে যায়। বোনের জন্য চিন্তায় ঘুম উড়েছিল দিদির,যখন বোন প্রথমবার অডিশন দিতে যায়। বোনের উত্সাহ বাড়াতে সঙ্গে গিয়েছিল শিল্পা। অভিনেত্রীর কথায়, আমি সবসময়ই বিশ্বাস করতাম দুই বোনের মধ্যে শমিতা বেশি সুন্দরী, ফর্সা। অভিনেত্রী হিসাবে বেশি ভালো এবং বোনই ভালো নাচতে জানে। তাই যখন শমিতা কাজ শুরু করল আমি ভেবেছিলাম আমাকে আর কেউ কোনও কাজ দেবে না। প্রসঙ্গত ২০০০ সালে মহব্বতে ছবির সঙ্গে বলিউডে ডেব্যিউ করেন শমিতা।

ছোটবেলায় কম মারপিট করেননি দুজনেই। শিল্পা জানিয়েছেন,'মাঝেসাঝেই বাবার আলমারিতে আমি শমিতাকে তালাবন্ধ করে দিতাম, বার করার পর মা চণ্ডীর রূপ ধারণ করে আমার দিকে তেড়ে আসত। খুব মারপিট হত। একবার তো আমি এমন মেরেছিলাম যে ওর মুখে আজও কাটার দাগ রয়েছে’।

সম্প্রতি সারোগেসির মাধ্যমে দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন শিল্পা। ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টির ঘরে আসে তাঁদের লক্ষ্মী। মেয়ের নাম রেখেছেন সামিশা। গত সপ্তাহেই একমাস পূর্ণ করল সামিশা। সেদিন ইনস্টাগ্রামে গোটা পরিবারের হাতের ছবিসহ একটি ইমোশ্যানাল বার্তা লেখেন শিল্পা।