ভারতের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে দেখা গেল সলমন খান, শিল্পা শেট্টি ও সঞ্জয় দত্তকে। অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় শিল্পা দৃশ্যত চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না। গাড়ির মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পা। রাজ কুন্দ্রাকেও দেখা যায়, এই কঠিন সময়ে স্ত্রীকে সঙ্গ দিতে।
শনিবার রাতেই গুলি করে হত্যা করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে। মুম্বই পুলিশ, যারা প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যার তদন্ত করছে, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়টিও তদন্ত করছে।
বাবা সিদ্দিকি বলিউড অভিনেতা সালমান খানের খুব ঘনিষ্ঠ। তিনিও শনিবার হাজির হয়েছিলেন লীলাবতী হাসপাতালে। চোখমুখ থমথমে ছিল ভাইজানের। গত ১৪ এপ্রিল ভোরে বান্দ্রায় সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় দুই বন্দুকবাজ। মুম্বই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে বলা হয়েছে, সলমন খানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ভিকি গুপ্তা ও সাগর পালের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিল জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
সলমন বিগত সময়ে একাধিকবার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগীদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। এবং যেখানে বলা হয়েছে যে, নিহত গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো তারও একই পরিণতি হবে। সলমন যখন থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন, তখন থেকেই অভিনেতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সুরক্ষার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুম্বইয়ের খের নগরে নিজের ছেলের অফিসের সামনে বাবা সিদ্দিকির উপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতীরা। লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে এসেছিলেন সঞ্জয় দত্ত, জাহির ইকবাল।
গোটা ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে রীতেশ দেশমুখ বলেন, ‘এই জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে’।
বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তৃতীয় অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ সূত্রেই আরও জানা গিয়েছে যে, বাবা সিদ্দিকিকে ১৫ দিন আগে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যার পরে তার নিরাপত্তা ওয়াই ক্যাটাগরিতে নিয়ে যাওয়া হয়।