বাঙালির মন জিতলেও ইন্ডিয়ার মন জিততে ব্যর্থ হলেন সঞ্চারী সেনগুপ্ত। ইন্ডিয়ান আইডল ১৩-র সেরা ১২-য় জায়গা করে নিতে পারলেন না ‘সুপার সিঙ্গার’-এর বিজয়ী। হ্যাঁ, গত সপ্তাহান্তে ইন্ডিয়ান আইডল থেকে বাদ পড়লেন বাংলার এই ট্যালেন্টেড গায়িকা। এত জলদি সঞ্চারীর মতো গায়িকা শো-তে বাদ পড়বেন তা কেউই বোধহয় আশা করেননি। অডিশন রাউন্ড থেকেই বিচারকদের মন জয় করেছিলেন সঞ্চারী। তাঁর কন্ঠে অপেরা শুনে হাঁ হয়ে গিয়েছিলেন বিশাল দাদলানি, নেহা কক্কররা। তবুও শেষরক্ষা হল না!
চলতি সপ্তাহান্তে রবিবারের এপিসোডে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন ‘আশিকি’ টিম থেকে রাহুল রায়, দীপক তিজোরি এবং কুমার শানু। ‘আশিকি’ ছবির ৩২ বছর পূর্ণ হওয়ায় এই বিশেষ এপিসোড। বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম বড় মিউজিক্যাল হিট ছবির গান এদিন গেয়ে শোনালো ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগিরা।
তবে সেলিব্রেশনের মাঝেই মন খারাপের রেশ ঘিরে ধরে সকলকে সঞ্চারীর এলিমিনেশনকে ঘিরে। ইন্ডিয়ান আইডলের সেরা ১৫-য় এইবার জায়গা করে নিয়েছিল সাত বাঙালি প্রতিযোগী। প্রীতম রায় আগেই বেরিয়েছে, এবার বাদ পড়ল সঞ্চারী। এইবার সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে একদম নীচে ছিল তিন প্রতিযোগী, সঞ্চারী সেনগুপ্ত, চিরাগ কোটওয়াল এবং কাব্য লিমায়ে। এদের মধ্যে দর্শকদের বিচারে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে বেরিয়ে গেলেন সঞ্চারী।
একের পর এক ধামাকেদার পারফরম্যান্স দিয়ে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ মাতিয়েছেন সঞ্চারী, এত জলদি তাঁকে চলে যেতে হবে এমনটা কেউই বোধহয় আঁচ করতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশ ভক্তরা লিখছেন, ‘এমনটা মোটেও হওয়া উচিত ছিল না। অন্যায় হয়েছে’।
ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে সফল না হলেও সঞ্চারী কিন্তু ইতিমধ্যেই প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। চলতি বছরের অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা গান 'বাঁধনে বাঁধিব'র মহিলা কন্ঠের মালকিন তিনি। 'বাবা,বেবি ও'-র এই গান গেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সঞ্চারী।
সঞ্চারী, প্রীতম বাদ পড়লেও দেবস্মিতা, বিদীপ্তা, অনুষ্কা,সেঁজুতির মতো বাঙালি গায়িকারা রয়েছেন ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি জেতার দৌড়ে।