স্ত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ-চর্চার মাঝেই অভিষেক বচ্চনের নতুন সিনেমা 'আই ওয়ান্ট টু টক' মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে তাঁর চরিত্র অর্জুনকে তাঁর স্ত্রীর থেকে আলাদা হিসেবেই দেখানো হয়েছে, যিনি তাদের মেয়ের সহ-অভিভাবক। সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক সুজিত সরকার জানিয়েছেন, সেটে এমন উদাহরণ রয়েছে যখন বাবা-মেয়ের দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় অভিষেক 'আবেগপ্রবণ' হয়ে পড়তেন।
যা বললেন সুজিত
স্লাইস অফ লাইফ ড্রামার শুটিংয়ের সময় তিনি এবং অভিষেক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, ‘খুব। কারণ তিনি একজন বাবা। এমন অনেক দৃশ্য আছে যেখানে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। আমারও মেয়ে, ওরও মেয়ে। সেটা তো ছাপ ফেলবেই ওর কাজে। আমার ক্ষেত্রেও তাই। তিনি নিজেকে রিলেট করে ফেলতেন কখনো না কখনো। যদিও আমার সঙ্গে সেভাবে এই নিয়ে কখনো কথা বলেননি। তারপর এই সিনেমায় সত্যি আছে, সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি।’
'আই ওয়ান্ট টু টক' ছবিটি ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া অর্জুন দাসের বাস্তব জীবন অবলম্বনে নির্মিত। এটি গত সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এবং এতে জনি লিভারও অভিনয় করেছেন। প্রযোজনা করেছে রনি লাহিড়ির রাইজিং সান ফিল্মস।
আরও পড়ুন: ‘কিউ কি তুম ধরকন…’! ক্রিকেটার থেকে গায়ক, জাভেদ আলির সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইলেন সৌরভ
এদিকে, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেককে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায়, মেয়ে আর বউয়ের কথা বলতে বলতে। ‘আমার পরিবার ও আমি খুব ভাগ্যবান যে আমি বাইরে গিয়ে সিনেমা করতে পেরেছি। কারণ আমি জানি যে ঐশ্বর্য আরাধ্যার সাথে বাড়িতে আছেন এবং এর জন্য আমি অ্যাশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমার মনে হয় না শিশুরা এভাবে চিন্তা করে। তারা আপনাকে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে দেখে না। অভিষেক বলেন, বাচ্চাদের কাছে বাবা-মা'ই সবার আগে।
আরও পড়ুন: ‘অপেক্ষা করতে পারছে না, অসৎ পথ নিয়ে…’! সারেগামাপা-জয়ী উজ্জয়নীর জন্য ফের ফেসবুকে সওয়াল লগ্নজিতার
অভিষেককে আগামীতে বি হ্যাপি, হাউসফুল ৫ এবং কিং-এ দেখা যাবে। ঐশ্বর্য সর্বশেষ ২০২৩ সালে 'পোন্নিয়িন সেলভান-২' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৮তে বিয়ে, ২২ বছরে ডিভোর্স! চলতি বছরেই কি দেবমাল্যকে ২য় বিয়ে, ফাঁস করলেন মধুমিতা
এদিকে বুধবার দুবাইয়ের এক অনুষ্ঠানে নারী অধিকার নিয়ে বক্তব্য দেন ঐশ্বর্য। তবে সেখানে তাঁর বলা কথার থেকেও, যা নিয়ে বেশি চর্চা হয়, সেটা হল ‘ঐশ্বর্য রাই বচ্চন’-এর পরিবর্তে টাইটেল কার্ডে লেখা ‘ঐশ্বর্য রাই’। যা তাঁদের ডিভোর্সের গুঞ্জনকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।