নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সুন্দরী এবং সফল অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন। অনেক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। পর্দায় বিভিন্ন চরিত্রকে দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন নায়িকা। কিন্তু এমন কিছু ছবিও রয়েছে, যেগুলি পেতে অনেক সংগ্রাম চালাতে হয়েছিল রবিনাকে। বলিউডে তার অনেক চাহিদা ছিল, কিন্তু একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাবিনাকে অনেক চেষ্টা করতে হয়েছিল।
‘শূল’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রবিনা ট্যান্ডন। ছবির প্রযোজনায় ছিলেন রাম গোপাল বর্মা। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। হিন্দিতে সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল। ‘শূল’য়ে রবিনা এক গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। জানা যায়, ছবিতে অভিনয়ের জন্য নাকি রবিনাকে মোটেই কাস্ট করতে চাননি রামগোপাল।
ছবিতে মঞ্জরি ভাবি, এক নিম্নবিত্ত সাধারণ গৃহবধূর চরিত্রের জন্য রবিনাকে পছন্দ ছিল ছবির পরিচালক ঈশ্বর নিবাসের। কিন্তু এই চরিত্রের জন্য প্রযোজক রাম গোপাল বর্মার মোটেই প্রথম পছন্দ ছিলনা রবিনা। সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সেই সময় রাম গোপাল বলেছিলেন, ‘না রবিনা, আমি চোখ বন্ধ করলেই তোমাকে 'আঁখিয়ো সে গোলি মারে' হিসেবে দেখতে পাই। এইটায় আমরা কীভাবে করব'! ১৯৯৮ সালের সিনেমা ‘দুলগে রাজা’এ 'আঁখিয়ো সে গোলি মারে' গানে অভিনয় করেছিলেন রবিনা।
রাজীব মাসান্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘এই ছবির প্রযোজক ছিলেন রাম গোপাল ভার্মা। তিনি মোটেই রাজি ছিলেন না। আমি বললাম রামু প্লিজ ম্যান, উনি আমাকে মঞ্জরী চরিত্রে দেখছিলেন না’।
এরপর মঞ্জরির একটা শটের জন্য রামগোপাল বর্মাকে রাজি করেছিলেন রবিনা। কিন্তু নিবাস ততক্ষণে মনে মনে অভিনেত্রী মঞ্জরি হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। নায়িকা বলেন, 'আমি মেকআপ রুমের বাইরে এসে করিডোরের দিকে যাচ্ছিলাম, ওঁর দিকে তাকিয়ে বললমা, ‘রামু (RGV) কেমন আছো?’ শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। উনি শুধুমাত্র ঘাড় নাড়িয়েছিলেন'।
নায়িকা বলেন, এরপরই রাম গোপাল বর্মা ৫-৭ মিনিট পর তাঁকে দেখে চমকে ওঠেন। বলেন, ‘ঈশ্বর, রবিনা এইটা তুমি ছিলে? বাকিটা ইতিহাস’।
প্রযোজক ছাড়াও ছবির লেখকও ছিলেন রাম গোপাল বর্মা। ছবিতে ইনসপেক্টর মনোজ বাজপেয়ী সমর প্রতাপ সিংয়ের চরিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। শিল্পা শেট্টি একটি আইটেম সং ‘ম্যায় অ্যায় হুঁ ইউপি বিহার লুটনে’তে ছিলেন।