সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়ের পরবর্তী ছবি ‘শেরদিল’। মানুষ ও প্রকৃতির দ্বন্দ্বের কথাই বলবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের আসন্ন ছবি। বাঘ, প্রকৃতি ও পঙ্কজ ত্রিপাঠী নিয়েই সৃজিতের তৃতীয় হিন্দি ছবি। উত্তরবঙ্গে কিছুদিন আগেই শ্যুটিং হয়েছে ছবির বেশ কিছু অংশের।
‘শেরদিল’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। ডুয়ার্সের জঙ্গলে বাঘের খপ্পড়ে পড়ার গল্প উঠে আসবে ছবির চিত্রনাট্যের মাধ্যমে। উত্তরবঙ্গ থেকে শ্যুটিং শেষ করে কলকাতায় ফিরেছেন পঙ্কজ। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে দেখা যায় অভিনেত্রী সায়নী গুপ্তকেও। ছবিতে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন সায়নী। রয়েছেন অভিনেতা নীরজ কবিও। এদিকে শহরে ফিরে পরিবার ও প্রিয়জনেদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
'মির্জাপুর' ওয়েব সিরিজ খ্যাত এই অভিনেতা সৃজিতের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করার প্রসঙ্গে আগেই বলেছিলেন, 'সৃজিতের সঙ্গে পরিচয় আমার অনেক দিনের। ওঁর পরিচালিত একাধিক ছবিই আমার দেখা। সৃজিত কেমন কাজ করে তা ওঁর ছবিই দেখলেই বোঝা যায়। আলাদা করে নতুনভাবে বলার কোনও প্রয়োজন নেই আমার। তবে এই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য শুনে রীতিমতো লাফিয়ে উঠেছিলাম আমি। আমার মনে হয় এই ছবির গল্পটাই নিজেই একটি চরিত্র। দারুণভাবে এই ছবির গল্প লিখেছেন সৃজিত। ছবিতে প্রতিটি চরিত্রকে এত সুন্দরভাবে পেশ করা হয়েছে, যা দেখে আমি মুগ্ধ।ওঁর প্রতি আমার অটুট বিশ্বাস রয়েছে। এটাই সম্ভবত সৃজিতের ইউএসপি'।
২০১৭ সালে নথিভুক্ত হয়েছিল ‘শেরদিল’। ২০১৯ সালে ঘোষণা করা হয় এই ছবির। ‘বেগমজান’, ‘সাবাশ মিঠু’র পর এটা সৃজিতের তৃতীয় হিন্দি ছবি। প্রসঙ্গত, নেপাল সীমান্তে ৬০২ কিমি অঞ্চলজুড়ে এক ব্র্যঘ্র প্রকল্প রয়েছে। যেখানে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৫০-এর বেশি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, জঙ্গলের বাইরে বাঘের আক্রমণে কোনও এলাকাবাসী মারা গেলে, মৃতের পরিবার ১০ লক্ষ টাকা করে পাবে। সেই টাকার আশাতেই নাকি বহু দুঃস্থ পরিবার তাঁদের বৃদ্ধ কিংবা অসহায় কোনও পরিবারের সদস্যকে জঙ্গলে ছেড়ে আসত।
পেটের দায়ে মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে, মানুষ ও প্রকৃতির দ্বন্দ্ব এসব আবর্তিত হয়ে এগোবে ছবির গল্প। ডুয়ার্সের জঙ্গল, গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক, লাটাগুড়ির বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে এই ছবির শ্যুটিং।