ট্রোলিংয়ের সঙ্গে অর্জুন কাপুরের সম্পর্ক বহু পুরোনো। কেরিয়ারের শুরু থেকেই বারবার ট্রোলড হতে হয়েছে এই তারকাপুত্রকে। বলিউডের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক বনি কাপুর ও মোনা শৌরির একমাত্র পুত্রের। স্বজনপোষণের অন্যতম ফল হিসাবে বারবার অর্জুনের নাম উঠে এসেছে। অর্জুন কাপুর সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন শুধুমাত্র তাঁর অ্যাপিয়ারেন্স কিংবা পদবির জন্যই নয়, কেবলমাত্র বেঁচে থাকবার জন্যও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি।
সম্প্রতি অর্জুনের দেখা মিলেছে নেটফ্লিক্সের ছবি ‘সর্দার কা গ্রান্ডসন’-এ। গত মার্চে থিয়েটারে মুক্তি পাওয়া অর্জুন-পরিণীতির ‘সন্দীপ ঔর পিঙ্কি ফরার’ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইম ভিডিয়োতে মুক্তি পাবার পর থেকে প্রশংসাও কুড়োচ্ছেন অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত আক্রমণ, ট্রোলিং নিয়ে এক সাক্ষাত্কারে অর্জুন জানান, ‘একবার ভেবে দেখুন আমাদের পরিবারকে ঠিক কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়! আপনারা মজা করবার জন্য যা ইচ্ছা তাই লিখে দেবেন, এবং কিছু মানুষজন আছেন যাঁরা সত্যি মহিলাদের নিয়ে খুব বাজে কিছু লেখেন, আমি নিজে তেমনটা পড়েছি। আমি তবুও একজন পুরুষ….আমি নিজের শারিরীক গঠনের জন্য তীর্যক মন্তব্য শুনেছি, আমি তো শুধুমাত্র বেঁচে থাকবার জন্য ট্রোলড হয়েছি, কিংবা কারুর ছেলের হওয়ার জন্য’।
অর্জুন যোগ করেন, ‘আমি কী করব নিজের মুখ পালটে দেব? কিংবা আমার নাম পাল্টে দেব… আমি নিজের উপস্থিতির জন্য দুঃখ পাব? আমরা সবকিছুই কেমন একটা টেকেন ফর গ্র্যান্টেট মনোভাবের সঙ্গে মেনে নিচ্ছি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আশা করছি এই বিষয়টা ভালোর দিকে পরিবর্তিত হবে’।
কাল হো না হো, সালাম-এ-ইশক-এর মতো ছবির সহকারী পরিচালক হিসাবে হিসাবে কাজ করেছেন অর্জুন। সেইসময় অর্জুনের ওজনের জেরে বডি শেমিং-এর শিকার হতেন তিনি। পরবর্তীতে সলমনের কাছে ট্রেনিং নেন বনি কাপুর পুত্র, এবং নিজেকে বলিউডের জন্য গড়ে তোলেন। ইশকজাদে ছবির সঙ্গে ২০১২ সালে পথচলা শুরু করেছিলেন অর্জুন। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে ৯ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন অভিনেতা। আগামিতে ‘ভূত পুলিশ’ ছবিতে দেখা যাবে অর্জুনকে। এছাড়াও তাঁর রয়েছে ‘এক ভিলেন রিটার্নস’-এর মতো ছবি।