সমবয়সি দুই শিল্পী। দু’জনেই যদি একই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হন, তাহলে তাঁদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা থাকা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর সেই প্রতিযোগিতার সূত্রে তাঁরা যদি হাজির হন লড়াইয়ের মঞ্চে? কতটা খুশি হবেন দুই শিল্পীর অনুরাগীরা?
অন্য কারও কথা না হয় পরে বলা যাবে, আপাতত দুই কণ্ঠশিল্পী শোভন এবং দুর্নিবারের কথাই ধরা যাক। সম্প্রতি তাঁরা হাজির হয়েছিলেন লড়াই করতে। তবে এ লড়াই একেবারে সুরের লড়াই, গানের লড়াই। একই মঞ্চে একসঙ্গে ‘গানের জ্যাম’ করলেন দুই শিল্পী।
এই লড়াইয়ে কার গান বেশি ভালো হল, তার বিচার তো না হয় করবেন দর্শক-শ্রোতা। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে একজন রেফারি থাকা আবশ্যক। এই ভূমিকায় দেখা গেল শিলাজিৎকে।
ওটটি মাধ্যমে ‘গান পয়েন্ট’ নামে এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি হাজির হয়েছিলেন শোভন এবং দুর্নিবার। নিয়মটি ছল খুব মজার। কাচের বয়মে রাখা আছে চিরকুট। এই দু’জনকে একটি একটি করে চিরকুট তুলতে হবে। প্রতিটি চিরকুটে লেখা আছে এক একটি গান। যে গানের নাম উঠবে, সেই গানটি গাইতে হবে ওই শিল্পীকে। তবে মূল গানটি যে লয়ে গাওয়া হয়েছিল, সেই লয়ে গাওয়া যাবে না। মঞ্চে তালবাদ্য শিল্পীরা যে লয়ে বাজনা বাজাচ্ছেন, সেই লয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গাইতে হবে গানটি। আর এভাবে চলবে জ্যামিং।
কী কী গান গাওয়া হল এই অনুষ্টানে? ‘আমার মায়ের পায়ের জবা হয়ে’, ‘দে দে পাল তুলে দে’, ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’, ‘মেরে সপনো কি রানি’, ‘কোড়া কাগজ থা ইয়ে মন মেরা’, ‘এক অজনবি হাসিনা সে’, ‘দেখা জো তুঝে ইয়ার’, ‘রূপ তেরা মস্তানা’-র মতো সুপারহিট গান।