শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনে প্রেম এসেছে বারবার। একটা সময় ইমন চক্রবর্তীর সঙ্গে মাখোমাখো প্রেম ছিল তাঁর, এরপর অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষকে ডেট করেছেন শোভন। প্রেম নিয়ে বরাবরই খোলামেলা শোভন। স্বস্তিকার সঙ্গে সম্পর্ক টেকেনি বেশিদিন। তবে ব্রেকআপ হতে না হতেই সোহিনীতে মজে শোভন!
শোভনের মতো মাস কয়েক আগেই ব্রেকআপ হয়েছে সোহিনীর। রণজয়ের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ইতি টেনে এখন শোভনের সুরে মোহিত নায়িকা। মাসকয়েক ধরেই দুজনের প্রেম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এবার জীবনের ‘অপরিবর্তনশীল সরকার’-এর আবদারে গান ধরলেন শোভন।
বুধবার গভীর রাতে নিজের স্টুডিওয় বসে একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করলেন শোভন। শুরুতে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘যে সরকার কোনওভাবেই পরিবর্তনশীল নয়, এই গানটা তাঁর জন্য….দূরে থাকার কারণে যে মাধ্যম মানুষকে কাছে আনে তা গান। আজকের গানটা তার আবদারেই…’। এরপর কিশোর কুমারের কালজয়ী প্রেমের গান ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায়’ গেয়ে শোনালেন শোভন।
লুকোচুরি ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে এই গান গেয়েছিলেন কিশোর কুমার ও রুমা দেবী। সেই স্বপ্নমাখা গান নিজের মনের মানুষের জন্য গেয়ে শোনালেন শোভন।
শোভনের গানে মুগ্ধ নেটপাড়া। সকলে যেমন প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে, এমনই কারুর বুঝতে অসুবিধা হয়নি, শোভনের এই না বদলানো সরকার আসলে কে! একজন লেখেন, ‘সেই সরকার সোহিনী সরকার’। অপর একজন লেখেন, ‘এত ভাল গাও.. অসাধারণ.. আত্মাতুষ্ট’।
প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন গায়ক। কিন্তু গত বছরের শুরুতেই ব্রেকআপের খবর সামনে আসে। গত নভেম্বরে ফেসবুকে সোহিনীকে বুকে টেনে ছবি দিয়েছিলেন শোভন। লিখেছিলেন, ‘শেষ সবকিছু তোমার জন্য তোলা থাকল।’ যদিও পরে সেই পোস্ট মুছে দেন শোভন। এরপরেও আকারে ইঙ্গিতে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। শোভনের পোস্টে ধরা পড়েছে রহস্যময়ী নারীর ছায়াশরীর। তিনি যে সোহিনী তা বুঝতে অবশ্য অসুবিধা হয়নি কারুর।
প্রসঙ্গত, আপতত শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত সোহিনী। সেই সূত্রেই শোভেনের থেকে দূরে রয়েছেন তাঁর মনের মানুষ। গত অক্টোবরে সোহিনীর জন্মদিনে বাকি বন্ধুদের সঙ্গে শোভনের উপস্থিতিই স্পষ্ট করেছিল তাঁরা সম্পর্কে রয়েছেন। প্রেমিক হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে শোভনের বিশেষ সুনাম রয়েছে এমনটা নয়। তবে স্বস্তিকার সঙ্গে ব্রেকআপ নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি তিনি। তবে প্রেমের ঢাক কিন্তু কম পেটাননি সম্পর্কে থাকাকালীন। এবার সবটাই খানিক রেখেঢেকে। টলিপাড়ার অনেকেই বলছেন, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে যাতে আলোচনা হোক সোহিনী চান না। আর সেকারণেই বোধহয় সাবধানী শোভন।