মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকবার মামলায় গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। শৌভিকের পাশাপাশি এদিন এনসিবির হাতে গ্রেফতার হলেন সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাও। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, রিয়া চক্রবর্তীকে এখনও সমন পাঠানো হয়নি। তবে শৌভিক ও মিরান্ডার পরিবারকে তাদের গ্রেফতারির ব্যাপারে সূচনা দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল দুজনকে এসপ্লানেড আদালতে পেশ করা হবে।
প্রভিনসন অফ নারকোটিক্স ড্রাগস এবং সাইকোথেরাপিক সাবসট্যান্স আইন, ১৯৮৫ অনুযায়ী আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে শৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডাকে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সূত্রের খবর, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে নিজের মাদকযোগের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে শৌভিক। শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে জেরায় রিয়া চক্রবর্তীর নামও নিয়েছে সে। দিদির কথাতেই নাকি ড্রাগ আদান-প্রদান করত সে, আধিকারিকদের এ কথাই জানিয়েছে শৌভিক। অন্যদিকে স্যামুয়েল মিরান্ডাও স্বীকার করে নিয়েছে ভাই শৌভিককে ড্রাগ আনার কথা বলতেন রিয়া। এবং শৌভিকের নির্দেশে ড্রাগ আনতেন তিনি।
শুক্রবার এই মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতার আবদুল বসির পরিহারকে আদালতে পেশ করবার সময় এনসিবি জানায়, সমাজের হাই সোসাইটির ব্যক্তিত্বদের ড্রাগ সাপ্লাই করে এই মাদক চক্র। তাই তদন্তের জন্য এনসিবির হেফাজতে দেওয়া হোক আবদুল বসির পরিহারকে।
রিয়ার চক্রবর্তীর সঙ্গে মাদকযোগের হদিশ মেলার পর ইডির সুপারিশে সম্মতি জানিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার তদন্তে নামে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর, শৌভিক চক্রবর্তীদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে আগে দুই মাদক পাচারকারীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। আর বৃহস্পতিবার সাত সকালে রিয়া চক্রবর্তী ও সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনসিবি। এদিন দুঘন্টা ধরে স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে হেফাজতে নিল এনসিবি।
এদিন সকাল ৭টা ৫ নাগাদ স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে পৌঁছায় এনসিবির চার সদস্যের একটি টিম। একই সময় রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছায় আট সদস্যের এনসিবির দুটি টিম। তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে রেইড করছে এনসিবি। সেখান থেকে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক গ্র্যাজেট হেফাজতে নেয় এনসিবি।