গত দু'মাস ধরে মুম্বইয়ের তালোজা জেলই স্থায়ী ঠিকানা রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে গ্রেফতার শৌভিক শনিবার নতুন করে জামিনের আর্জি জানাল বিশেষ এনডিপিএস আদালতে, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। ‘মাদকচক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে’ শৌভিকের এই এনসিবির এই দাবি মেনে এর আগে শৌভিকের জামিন খারিজ করেছে বম্বে হাইকোর্টও।
গত ৪ সেপ্টেম্বর এনসিবির হাতে গ্রেফতার হন শৌভিক চক্রবর্তী। মাদকচক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে শৌভিকের নামে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং এনডিপিএস আদালত আগেই খারিজ করেছিল রিয়া-শৌভিকদের জামিন। এরপর বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন সুশান্ত মামলার মূল এই দুই অভিযুক্ত। গত ৭ অক্টোবর রিয়ার শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট। তবে ৭০ পাতার রায়ে বিচারপতি সারাং কোতওয়াল জানিয়েছিলেন মাদক কারবারিদের সঙ্গে রিয়ার প্রত্যক্ষ যোগ নেই। তবে তাঁর ভাই শৌভিক সেই চক্রে জড়িত আছেন বলে পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, 'এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে শৌভিক শুধু যে অনেক মাদক কারবারিকে জানতেন, তাই নয়, তাদের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ ছিল। আদতে তাঁদের সঙ্গে লেনদেন করছিলেন। তাই তিনি মাদক কারবারিদের চক্রের অংশ ছিলেন।'
অর্থাত্ শৌভিকের উপর আনা এনসিবির এনডিপিএস আইনের ২৭ (এ) ধারা মঞ্জুর করেছে বম্বে হাইকোর্ট। এটি জামিন অযোগ্য ধারা এবং এই ধারায় দোষ প্রমাণ হলে কমপক্ষে ১০ বছর হাজতবাস করতে হবে কলেজ পড়ুয়া শৌভিককে।
বম্বে হাইকোর্টে জামিন না-মঞ্জুর হওয়ার এক মাস পর নতুন করে বিশেষ এনডিপিএস আদালতে জামিনের আর্জি জানাল শৌভিক চক্রবর্তী। রিয়ার পাশাপাশি বম্বে হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়িতে কর্মরত স্যামুয়েল মিরান্ডা ও দীপেশ সাওয়ান্তেরও।তবে শৌভিকের পাশাপাশি বেল পাননি অভিযুক্ত মাদকচক্রের অন্যতম পান্ডা আবদুল বাসেত পারিহার।