শোবিজ দুনিয়ায় কেউই নাকি বন্ধু হয় না। এই মিথ সত্যি নাকি মিথ্যা? অভিনেতা শ্রেয়স তলপেড়ের মতে কথাটা এক্কেবারে সত্যি। অভিনেতা সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, বহুবার তাঁর ‘পিঠে ছুরি মেরেছে’ ইন্ডাস্ট্রির সেই সকল ব্যক্তিরা যাঁদের তিনি বন্ধু ভাবতেন। সবকিছুই ঘটেছে সেইসব মানুষদের ‘পলকা অহংবোধ’-এর জন্য, মত ‘ইকবাল’ তারকার। অনেক সময় বহু তারকা তাঁর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পর্যন্ত অস্বীকার করেছে এমন চাঞ্চল্যকর দাবিও করলেন দীর্ঘ ২১ বছর বলিউডে কাটিয়ে ফেলা এই অভিনেতা।
ইকবাল-এর সুবাদে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন অভিনেতা, সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি বক্স অফিসেও সাফল্য পেয়েছিল এই ছবি। এক সংবাদমাধ্যমে শ্রেয়স জানান, তাঁর কাজের আরও বেশি কদর হওয়া উচিত ছিল তবে কোনওদিন নিজেকে স্টার হিসাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
অভিনেতার কথায়, ‘আমি দেখেছি অনেক অভিনেতা রয়েছে যাঁরা আমার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন, তাঁরা নিজেদের ছবিতে আমাকে চায়নি। অনেক সময় বন্ধুদের স্বার্থের কথা ভেবে আমি তাঁদের ছবিতে কাজ করেছি অথচ তাঁরাই পরবর্তী সময়ে আমার পিঠে ছুরি মেরেছে। ইন্ডাস্ট্রিতে আসলে ৯০ শতাংশ মানুষই বন্ধু নয়, মাত্র ১০ শতাংশ মানুষজনের সঙ্গে কাজ করে সন্তুষ্টি মেলে। মানুষের অহংবোধ এখানে খুব পলকা'।
বক্স অফিসে শ্রেয়সের শেষ ছবি ছিল ‘সেটার্স’। ইকবাল ছাড়াও, ‘আপনা সপনা মানি মানি’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘ওয়েলকাম টু সজ্জনপুর’, ‘গোলমাল রিটার্নস', 'গোলমাল ৩'-এর মতো ছবিতে দেখা মিলছে তাঁর। পোস্টার বয়েজ নামের একটি ছবি পরিচালনাও করেছেন শ্রেয়স তলপেড়ে।