পান থেকে চুন খসলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েন নায়িকারা। অনেক সময়ই অকারণেই নীতি পুলিশদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম পরিচিত মুখ শ্রুতি দাসকে বহুবার কুরুচিকর আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে নিজের গায়ের রঙ-এর জন্য। বর্ণ-বিদ্বেষের শিকার হয়ে বহুবার কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্রুতি, তবুও লাভ হয়নি।
কাটোয়ার মতো ছোট শহরের ময়ে শ্রুতি, নিজের অভিনয় দক্ষতায় দর্শকদের মন জিতেছেন। তবুও কুৎসিত আক্রমণ থামে না। এবার সহ্যের বাঁধ ভাঙল নায়িকার, অশ্লীল কটূক্তি সইতে না পেরে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রী। আপতত ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে ‘নোয়া’র চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি। সিরিয়ালের বর্তমান ট্র্যাক নিয়ে আপত্তি তুলছেন অনেকেই। নোয়া-কিয়ানের চেয়ে কেন রাজা-মাম্পি জুটিকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই নিয়েও বরাবরের অভিযোগ দর্শকদের একাংশের। সিরিয়াল থেকে শ্রুতিকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েও সরব হয়েছে নেটিজেনদের একাংশ।
এর মধ্যেই একজন স্টার জলসার ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে লিখে বসেন, ‘শ্রুতি দাসকে সিরিয়াল থেকে বাদ দেওয়া হোক। খুব ফালতু একটা মেয়ে, শরীর বিক্রি করে… ওকে আমাদের খুব সামনে থেকে দেখা’। এরপর কমেন্ট বক্সে ওই মহিলা আরও অশ্লীল মন্তব্য করেন শ্রুতির উদ্দেশে। এরপর গোটা ঘটনার স্ক্রিনশট তুলে প্রথমে কলকাতা পুলিশ ও পরে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল বিভাগে মেল করেন শ্রুতি। ই-মেলে তিনি লেখেন, ‘ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে আমার দুই ভেরিফায়েড প্রোফাইল রয়েছে। সুপর্ণা বোস সরকার নামক ওই মহিলা আমার হোমটাউন কাটোয়ারই বাসিন্দা। স্টার জলসার পেজে তিনি আমাকে উদ্দেশ্যে করে এমন সব মন্তব্য করেছেন যার বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই’।

ট্রোল-বিতর্ক শ্রুতির নিত্য-সঙ্গী। গায়ের রঙ ছাড়াও পরিচালক স্বর্নেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে সম্পর্কে থাকবার জেরেই নাকি কাজ পেয়েছেন তিনি, এমন কটাক্ষও হজম করেছেন শ্রুতি। অভিনেত্রী অবাক, তাঁর শহর কাটোয়ার মানুষ কীভাবে তাঁকে এমনভাবে অপমান করতে পারে। শ্রুতি আশাবাদী শীঘ্রই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সাইবার সেল।