বরাবরই স্পষ্টবাদী শ্রুতি দাস। বাংলা টেলিভিশনের ‘রাঙা বউ’ প্রথম থেকেই গর্জে উঠেছেন আরজি করের ঘটনা নিয়ে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই আটকে থাকেনি শ্রুতির প্রতিবাদ, পথে নেমে আরজি করের চিকিৎসক তরুণীর জন্য বিচার চাইছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাংলার ইউটিউবাররা একজোট হয়ে বিচার চাইলো আরজি করের ঘটনা নিয়ে। সেই প্রতিবাদেও পা মেলান শ্রুতি। আরও পড়ুন-‘মেয়েটা অমানবিক’, আর জি কর কাণ্ডের মাঝে কীসের জেরে জনতার রোষের মুখে নুসরত?
আর জি করের ঘটনার পাশাপাশি প্রশ্নের মুখে টলিউডের নারী নিরাপত্তাও। এক নামী পরিচালকের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জমা পড়েছে। টেলিভিশনের এক পরিচালকের বিরুদ্ধে বছর দুয়েক আগে উঠে আসা মিটু-র মামলা নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। শুধু বিনোদন জগত নয়, বর্তমানে কাজের জায়গায় মহিলাদের নানা ভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে একাধিকবার। এই পরিস্থিতি নিয়ে গর্জে উঠেন শ্রুতি।
তিনি জানান, ‘লজ্জা মানে, বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করছে না, এরপর যদি আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে যায়, এর দায় কে নেবে? আমাদের পরিবার ছেড়ে কথা বলবে না। কোনওভাবে মুখ বন্ধ করা যাবে না। আমাদের বাড়ির কারুর ক্ষতি হলে আমরা পথে নামবো, আজকে রাতে দখল করেছি, আমরা এরপর দিনে দখল নেব। সবকিছু স্তব্ধ করে দেব, দেখব কার বাড়ির ছেলে, কার বাড়ির মেয়ে কাজে যায়’। সব শেষে তাঁর একটাই দাবি, ‘বিচার চাই’।
এই মুহূর্তে ছোটপর্দা থেকে দূরে রয়েছেন শ্রুতি। তবে খুব শিগগিরি বড় পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘আমার বস’ ছবিতে রাখি গুলজারের সঙ্গে স্ক্রিনভাগ করে নিয়েছেন বাংলা টেলিভিশনের ত্রিনয়নী। কেরিয়ারের গোড়া থেকেই নিজের গায়ের রং নিয়ে নানান কটাক্ষের মুখে পড়েছেন শ্রুতি। এমনকি বয়সে বড় পরিচালক-প্রযোজককে বিয়ে করা নিয়েও কম কটূক্তি শুনতে হয়নি তাঁকে। বরাবরই নিন্দকদের কড়া জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে মানিয়ে নেওয়ার সময় আর নয়, এবার রুখে দাঁড়ানোর সময়।
ওদিকে আরজি কর কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। ফের একবার সর্বোচ্চ আদালতে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। কেন দেরিতে দায়ের হল খুনের মামলা? শুধুমাত্র জেনারেল ডাইরির ভিত্তিতেই কীভাবে পোস্টমর্টেম? ক্রাইম সিন সিল করতে কেন ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগল পুলিশের?
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পাঁচদিন পরে ঘটনার তদন্তভার হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ততদিনে সব পালটে দেওয়া হয়েছে।