বাবা কমল হাসান ও মা শারিকার ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান। ১৯৮৮ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন এই দম্পতি। ২০০৪ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের ১৬ বছরের বিবাহিত জীবনে শ্রুতি কিশোর থাকাকালীনই বিচ্ছেদ হয় দু'জনের। দম্পতির আরো এক মেয়ে আছে। তাঁদের বড় মেয়ের নাম আকশারা হাসান।
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শ্রুতি জানিয়েছিলেন, আমি খুশি ওরা দুজনে আলাদা হয়ে গেছে। কারণ, একসঙ্গে না থাকতে চাইলে জোর করে দুজনের থাকার কোনো মানে হয়না। জুম ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি মায়ের তুলনায় বাবার বেশি কাছের। তবে তাঁদের সেরা বাবা-মা বলে সম্বোধন করেছেন অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে উচ্ছ্বসিত কারণ কারণ তাঁরা নিজেদের মতো করে বাঁচতে চেয়েছিল তাই। আমি কখনোই চাইনি দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকুক যাঁদের একসঙ্গে থাকার কোনো কারণই নেই। তবুও তাঁরা বাবা-মা হিসেব সেরা। আমি মূলত আমার বাবার বেশি কাছের। আমার মা-ও খুব অসাধারণ। আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলেছে। এটা হয়তো সেরার জন্যই ঘটেছে’।
অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘ওরা দুজনেই খুব ভাল মানুষ। তবে একসঙ্গে থাকলে হয়তো তাঁরা এত সুন্দর থাকতে পারতেন না। আলাদা থাকার ফলে তাঁদের অন্তরের সৌন্দর্য কখনো বদলে যায়না। যখন ওরা আলাদা হয়েছিল আমি খুব ছোট ছিলাম। এটা তো স্বাভাবিক তাঁরা আলাদা থাকার ফলে আরো ভাল থাকতে পেরেছে’।
সম্প্রতি নিজের পরবর্তী প্রোজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত শ্রুতি। ডিজিটাল সিরিজ সালার-এর কাজ নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী। যদিও করোনার জন্য শ্যুটিং স্থগিত।