বাবা দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার। মা-ও অভিনয় জগতের পরিচিত মুখ। বাবা-মা'র পথে হেঁটেই অভিনয়কেই কেরিয়ার হিসাবে বেছে নেন শ্রুতি হাসান। ২০০৯ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র লাক দিয়ে অভিনয় সফর শুরু শ্রুতির। তবে মদন গৌরীর সঙ্গে মন খোলা আড্ডায় অভিনেত্রী-গায়িকা স্বীকার করেছেন যে একটা সময় ছিল যখন তিনি নিজের পরিচয় তৈরি করা ছাড়া আর কিছুই চাইতেন না। এতটাই যে সে অন্য কেউ হওয়ার ভানও করত।
'আমি পূজা রামচন্দ্রন', বলতেন শ্রুতি
শ্রুতি হাসান সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে সারিকা এবং কমলের মেয়ে হিসাবে তিনি ‘খুব গর্বিত’। তহে তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন এই পরিচয় তাঁর বিরক্তির কারণ ছিল এবং লোকেরা তাঁকে তার বাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বস্তিবোধ করতেন। শ্রুতি জানান, 'মানুষ আমাকে ক্রমাগত বাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত….আমার মনে হত, আমি শ্রুতি, আমি আমার নিজস্ব পরিচয় চাই। লোকজন আমাকে দেখিয়ে বলত, 'আরে, ওটা কমল হাসানের মেয়ে'। যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করত, আমি বলতাম, 'না, আমার বাবা ডাঃ রামচন্দ্রন। 'আর আমি পূজা রামচন্দ্রন', এই নামটা আমি বানিয়ে বলতাম'।
তিনি আরও বলেন যে তিনি জানতেন যে তাঁর বাবা সাধারণ নয় এবং চেন্নাইতে থাকার কারণে খ্যাতি এড়ানো শ্রুতির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, 'আমার বাবা শুধু অভিনেতা বা বিখ্যাত ব্যক্তি নন, আমি ছোটবেলা থেকেই জানতাম যে আমার দেখা বাকি সবার চেয়ে তিনি আলাদা। আমি দু'জন একগুঁয়ে মানুষ দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছি এবং এটি আমার এবং আমার বোনকে প্রভাবিত করেছিল। তারা আলাদা হয়ে গেলে আমি মুম্বই চলে যাই। চেন্নাইয়ে থাকাটা আমার কাছে কখনওই উপভোগ্য হয়নি। আপ্পার (বাবা) পোস্টার যখন সর্বত্র তখন তাঁর খ্যাতি থেকে নিজেকে আলাদা করা কঠিন। আজ কমল হাসানকে ছাড়া শ্রুতিকে কল্পনাও করতে চাই না'।
সুপারস্টার কমল হাসান ও সারিকা বিয়ের আগেই সহবাস করতেন। ১৯৮৬ সালে শ্রুতির জন্ম। তার দু-বছর পর গাঁটছড়া বাঁধেন দুজনে। ১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিবাহিত ছিলেন দুজনে। বাবা-মা'র ডিভোর্স গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল দুই মেয়েকে। তাদের দুই মেয়ে শ্রুতি ও অক্ষরা হাসান।
শ্রুতির আসন্ন কাজ
শ্রুতিকে শেষ দেখা গিয়েছিল প্রশান্ত নীলের সালার পার্ট ১ –এ। খুব শিগগিরই তাঁকে দেখা যাবে ছবির সিক্যুয়েল 'সালার পার্ট ২-তে এবং সৌর্যঙ্গ পরবম ও লোকেশ কানাগরাজের 'কুলি'তে। কমল হাসানকে শীঘ্রই মণি রত্নমের ঠগ লাইফ এবং শঙ্করের ইন্ডিয়ান ৩-এ দেখা যাবে।