দিনটা ছিল ২১ ফেব্রুয়ারি, প্রেমিক, স্বামী পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে ছবি তুলেছিলেন শুভশ্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ছবি পোস্টও করেছিলেন রাজ-শুভশ্রী। আর সেটি হয়ে উঠেছিল নেটনাগরিকদের একাংশের মাথাব্যাথার কারণ। এবার সেই সমালোচনার জবাব দিলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজকে চুমু নিয়ে নিন্দুকেদের কটাক্ষ নিয়ে শুভশ্রী বলেন, ‘যাঁরা ট্রোল করেন, তাঁদের কোনও অস্তিত্ব-ই আমাদের কাছে নেই। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করি। আর আমরা প্রতি মিনিটে একে অপরকে চুমু খাই।' রাজের রাজনৈতিক পদক্ষেপ, ছেলে ইউভানকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় আনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এপ্রসঙ্গে শুভশ্রী বলেন, ‘রাজ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই কিছু লোকজন নানান কিছু নিয়ে সমালোচনা করছেন। তবে আমি এবং আমার পরিবার ভীষণই ইতিবাচক চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসী। তাই সমালোচনায় কান দিই না। কর্মফলে বিশ্বাস করি। আমরা জীবনের প্রতি মুহূর্ত উপভোগ করি।’ তবে শুধুই কি সমালোচনা, অনেকে তো রাজ-শুভশ্রীকে সমর্থনও করেছেন। এ প্রসঙ্গে শুভশ্রী বলেন, 'সত্যিই অবাক হয়েছি, এই সমর্থন আনন্দও দিয়েছে।'
সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী স্বীকার করে নেন, ইন্ডাস্ট্রি কেন সর্বত্রই পুরুষদের তুলনায় মহিলাদেরই বেশি সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। তবে অভিনেত্রী মনে করেন মহিলারা শক্তিশালী এটা সমালোচকরা জানেন বলেই হয় বারবার আক্রমণ হয়। শুভশ্রীর কথায়, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে ১৬ বছর কাটিয়ে ফেলেছি, কোনওদিনই দেখিনি যে নারীবাদ, লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়ন, এই শব্দগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে আমরা মহিলারা প্রতিদিনই লড়াই করছি, আশাকরি একদিন জয়ী হব। পুরুষ-মহিলার সমান সম্মান থাকা উচিত। ’
শুভশ্রীকে ইন্দুবালা রূপে দেখে, ইউভান কি মা-কে চিনতে পেরেছিল। এর উত্তরে শুভশ্রী বলেন, ‘ইউভান ২০২০-তে জন্ম নেওয়া শিশু ভীষণই বুদ্ধিমান। প্রথমে ও আমাকে বয়স্কার চেহারায় দেখে ২ সেকেন্ড সময় নিয়েছিল, তারপর বলল ও মাম্মা। মাম্মা ঠাম্মা। অর্থাৎ মা ঠাম্মা হয়ে গিয়েছে। আমরা শুনে অবাক হয়ে যাই। আর ও হাসতে থাকে।’
ইন্দুবালাকে বিয়ের নিজের দেশ ছেড়ে এদেশে চলে আসতে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়িতে শুনতে হয়েছিল রিফিউজি ভাষা বলছে। ব্যক্তিগত জীবনে শুভশ্রীকে কি বিয়ের পর কোনও পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হয়েছে? এমন প্রশ্ন শুভশ্রী বলেন, 'অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমার শাশুড়ি মা (রাজের মা) চাননা আমি রান্নাঘরে যাই। তাই আমি যখন জন খেতেও রান্নাঘরে ঢুকি, উনি জিগ্গেস করে আমি কেন রান্নাঘরে যাচ্ছি। উনি ভীষণই প্রগতিশীল মহিলা। আমি সত্যিই ভাগ্যবান। আমার শাশুড়ি আমার কাছে মায়ের থেকেও বড় 'চিয়ার লিডার'। উনি নিজের ছেলের থেকেও বউমাকে এগিয়ে রাখেন। আর স্বামী রাজের কথা নতুন করে কী বলব, তাহলে গোটা একটা দিন লাগবে।'