প্রথম বিবাহবার্ষিকীর আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। ২০১৮ সালে পরিচালক রোহিত মিত্তলের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন এই বাঙালি অভিনেত্রী। কিন্তু গতমাসে অভিনেত্রী তাঁদের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আনেন। এবার শোনা যাচ্ছে আইনি পথে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন মাকড়ি খ্যাত এই তারকা,খবর স্পটবয় সূত্রে।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন,আমরা আইনি পথে বিচ্ছেদের জন্য আবেদন জানিয়েছি। শ্বেতা জানান দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙলেও রোহিতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আজও টিকে রয়েছে। শ্বেতার কথায়, রোহিত আর আামার সম্পর্ক ভীষণ আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ন, আমি যেমনটা আমার পোস্টে জানিয়েছিলাম এই সিদ্ধান্তটা একদম পারস্পরিক সিদ্ধান্ত। আমার কেরিয়ারের বিষয়ে রোহিত সবসময়ই ভীষণ সমর্থন করেছে, রোহিত নিজে একদন দুর্দান্ত ফিল্মমেকার। আমি আশা করছি আমরা একদিন একসঙ্গে কাজ করব। পাঁচ বছর আমাদের মধ্যে একটা ভীষণ ভালোবাসাপূর্ন,সুস্থ এবং বিশ্বস্ত সম্পর্ক ছিল, আমরা শুধু ঠিক করেছি বিবাহ সম্পর্কে ইতি টেনে বন্ধু থাকব।
শ্বেতা জানান, আপতত তিনি জীবনে ভালোবাসার খোঁজ করছেন না। ছোটপর্দার চন্দ্রনন্দিনীর বলেন, ‘অবশ্যই এখন আবার প্রেমে পড়ার মতো আমার কোনও ইচ্ছা নেই,এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য কেরিয়ারে মন দেওয়া এবং ভালো কাজ করা। জীবনে স্বাভাবিকভাবে প্রেম এলে ঠিক আছে, না এলেও কোনও সমস্যা নেই। এটা বলতে পারি আমি প্রেমের খোঁজ করছি না’।
২০১৮-র ১৩ ডিসেম্বর পরিবার ও কাছের বন্ধুদের উপস্থিতিতে দীর্ঘদিনের প্রেমিক রোহিত মিত্তলকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা।
ইন্সটাগ্রামে নিজেদের আলাদা হয়ে যাওয়ার খবর জানিয়ে শ্বেতা লেখেন, 'সবাইকে জানাতে চাই-আমি আর রোহিত আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানলাম। অনেক ভাবনা চিন্তার পর আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা দুজনের ক্ষেত্রেই ভালো হবে বলেই বিশ্বাস।.. কিছু জিনিস বোধহয় অসম্পূর্ন থাকাই ভালো। রোহিতকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার জীবনে কিছু অবিস্মরণীয় মুহুর্ত উপহার দেওয়ার জন্য, আমাকে সব সবসময় অনুপ্রাণিত করা জন্য। রোহিত তোমার আগামী দিনগুলো শুভ হোক। ভালো থেকো। আজীবন তোমার চিয়ারলিডার থাকবো আমি'।
মকড়ির পাশাপশি 'ইকবাল', 'বদ্রীনাথ কি দুলহানিয়া'র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্বেতা। বাংলা ছবি 'এক নদীর গল্প'তেও মিঠুন চক্রবর্তীর মেয়ের ভূমিকা দেখা গেছে তাঁকে। দুটি জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত এই অভিনেত্রী কাজ করেছেন চন্দ্রনন্দিনী'র মতো জনপ্রিয় মেগা সিরিয়ালেও। রূপোলি পর্দায় শ্বেতার শেষ ছবি ‘দ্য তাশখন্দ ফাইলস’।