জানুয়ারি মাসেই বিয়ের জল পড়েছে গায়ে। তাই প্রেমটাও বেশ মাখোমাখো রুবেল দাস ও শ্বেতা ভট্টাচার্যের। এমনিতে যদিও ডেইলি সোপের কাজের চাপে, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বাড়িতে সেভাবে সময় দিতে পারেন না। কিন্তু ‘নিম ফুলের মধু’-র শেষ হওয়া, সাপে বর হয়েছে এই জুটির জন্য। ‘তুই আমার হিরো’ আর ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’-র সেট একই স্টুডিয়োতে। তবে পরপর দুটি ফ্লোরে।
তা কেমন কাটছে দিন? শ্বেতা এক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, আগে লাঞ্চ ব্রেকে ফোনে কথা হত দুজনের। তবে এখন একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। তবে হ্যাঁ, বাড়ি ফেরাটা সবসময় একসঙ্গে হয়ে ওঠে না।
রুবেলের প্যাকআপ হয় রাত ১০টায়, আর শ্বেতার রাত ৯টায়। কখনো রুবেলের প্যাকআপ আগে হয়ে গেলে মিলে যায় একসঙ্গে বাড়ি ফেরার সুযোগ। আবার, কখনো শ্বেতাই অপেক্ষা করে যান। যতটা সময় একসঙ্গে কাটানো যায় আর কী! অভিনেত্রীর মে, ‘বিয়ের পর প্রেমটা কীভাবে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টাই আমরা করে যাচ্ছি…’
মোটামুটি ১৪-১৬ ঘণ্টা সেটেই কাটান তারকারা। তারপর যাতায়াত। পরিবারকে সময় দিতে না পারার আফশোস থাকে তাই বহু তারকার মুখেই। কিন্তু এক্ষেত্রে শ্বেতা আর রুবেলের ভাগ্য বেশ ভালোই বলতে হয়!
রুবেল-শ্বেতার প্রেমকাহিনি:
বেশ অল্পবয়স থেকে রুবেল ও শ্বেতা চেনেন একে-অপরকে। দুজনে একসঙ্গে নাচ শিখতেন। যদিও তখন শুধুই বন্ধুত্ব। এরপর রুবেল চলে যান মুম্বই। শ্বেতাও পা রাখেন সিরিয়াল জগতে। এরপর মুম্বই থেকে ফিরে সিরিয়াল করা শুরু রুবেলেরও।
তবে দুজনের ফের দেখা হয় যমুনা ঢাকি-র সেটে। যদিও সেই সময় দীর্ঘ ৯ বছরের একটি সম্পর্কে ছিলেন শ্বেতা। কিন্তু সেই প্রেমিক, আচমকাই ছাড়েন শ্বেতার হাত। আর বন্ধু, সহকর্মীকে আগলে নেন রুবেল। নতুন করে ভালোবাসা আসে জীবনে। যদিও এবারে আর হাত ছাড়েনি ভালোবাসার মানুষটাও। শ্বেতা নিজেও রুবেলের যত্ন-ভালোবাসায় কোনো খামতি রাখেন না।
বছরখানেক আগে যখন পুজোর সময় করোনায় আক্রান্ত হন রুবেল, তখন গোটা সময়টা হসপাতালে কাটিয়েছিল শ্বেতাও। এমনকী, নিজেও ঠাকুরের মুখ দেখেননি।