নীল নয়না সুন্দরীর রূপের জাদুতে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীনই সাত পাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বর্য রাই। বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ তিনি। বিয়ের প্রায় ১৪ বছর পরেও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে এক বাড়িতেই বাস করেন ঐশ্বর্য। অমিতাভ-জয়া হামেশাই প্রশংসা করে থাকেন আদরের পুত্রবধূর, তবে একমাত্র ননদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক অ্যাশের?
লেখিকা এবং ফ্যাশন ডিজাইনার শ্বেতা বচ্চন নন্দা কফি উইথ করণে-র শো-তে হাজির হয়ে বৌদির সঙ্গে নিয়ের সম্পর্কের ইকুয়েশন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেখানে তিনি জানান, ভাই অভিষেক এবং বৌদি ঐশ্বর্যর রাগ, ভালবাসা, খুনসুটি কীভাবে সহ্য করেন তিনি।
শো-তে বৌদি ঐশ্বর্যর সফলতার পিছনে কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিভার প্রশংসা করেন শ্বেতা। তিনি বলেন, ‘ও নিজের প্রতিভায় সফল, মানসিকভাকে দৃঢ় এবং দারুণ মা’। অন্যদিকে, ঐশ্বর্যর কোন স্বভাবটা তাঁর সবথেকে বেশি সহ্য করতে হয়? সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্বেতা বলেন, ঐশ্বর্য কখনো ঘুরিয়ে কল বা মেসেজ করেন না। এই অভ্যেস মোটেই পছন্দ নয় অভিষেকের দিদির। অ্যাশের সময় ম্যানেজ করে উঠতে না পারাটাই সবচেয়ে অসহ্যকর হলেও তা সহ্য করেন শ্বেতা।
একইভাবে ভাই অভিষেকের ব্যাপারে বলতে গিয়ে শ্বেতা বলেন, অভিষেক খুব অনুগত এবং সৎ পারিবারিক মানুষ। শুধুমাত্র ছেলে হিসেবে নয়, স্বামী হিসেবেও। তবে অভিষেকের সেন্স অফ হিউমার সবথেকে বেশি অপছন্দ শ্বেতার। অভিষেক মনে করেন সে সব জানেন, এই সবজান্তাভাব শ্বেতার একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর দিদির।
সম্প্রতি অন্য এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভ এবং জয়া কন্যা শ্বেতা খোলসা করেন, কেন তিনি বিনোদন জগত থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। তিনি বলেন, স্টার হওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব তিনি নন। ক্যামেরাকে তিনি ভয় পান এবং ভিড় থেকে দূরে থাকার চেষ্টা। তিনি আরও মনে করেন, নায়িকা হওয়ার মতো প্রতিভা এবং লুক তাঁর নেই। তিনি যেমন তিনি তাতেই খুশি।
অভিনেতা রাজ কাপুরের দিদির ছেলে শিল্পপতি নিখিল নন্দার সঙ্গে ১৯৯৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন শ্বেতা বচ্চন নন্দা। তাঁদের দুই সন্তান নভ্যা এবং অগস্ত্য।