আজ ১৪ই অক্টোবর, দেখতে দেখতে চার মাস অতিক্রান্ত। সুশান্ত নেই, তবে তাঁর স্মৃতি আঁকড়েই রয়েছে অভিনেতার পরিবার ও অগুণতি ভক্ত। একইসঙ্গে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য জোরালো আওয়াজ এখনও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজকেই এই দিনটিকেই স্মরণীয় করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্তের একটি পুরোনো অদেখা ভিডিও পোস্ট করলেন দিদি শ্বেতা। ক্যাপশনে লিখলেন - ‘প্রকৃত অনুপ্রেরণা’।
গত জুন মাসের এই ১৪ তারিখেই বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই চার মাসে তাঁর মৃত্যু তদন্ত নিয়ে মিঠি নদী বেয়ে কম জল গড়ায়নি। কোনও টানটান উত্তেজনাপূর্ণ বলি প্রযোজনার চিত্রনাট্যের চেয়ে কোনও অংশে কম ছিলোনা এই তদন্তকে ঘিরে বলিউডি চাপানউতোর। সেই আঁচ এখনও আপাতত অব্যাহত।
গতকাল প্রয়াত অভিনেতার ন্যায় বিচারের প্রার্থনায় অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানিয়েছিলেন শ্বেতা। শুরু করেন # মনকিবাত4এসএসআর ক্যাম্পেন। ভক্তদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ এর অনলাইন পোর্টালে নিজেদের রেকর্ড করা বক্তব্য পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়াও নিজেদের দাবির কথা জানিয়ে পিএমও এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ট্যাগ করারও পরামর্শ দেন তিনি। কিছুক্ষনের মধ্যেই অনুরাগীমহল থেকে ব্যাপক সাড়া মেলে। কেউ লেখেন আমরা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবো,এ লড়াই আমাদের জিততেই হবে। অনেকে আক্ষেপের সুরে বলেন- সুশান্ত বাঁচতে চাইতেন , মৃত্যুকে ভয় পেতেন , আর তাঁকেই খুন করা হল , এখন বলা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন , আদতে ন্যায়বিচারই বিক্রি হয়ে গিয়েছে'।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে ভাইরাল #ProtestInBihar4SSR এবং #MannKiBaat4SSR হ্যাশট্যাগ। তবে আমচকাই শ্বেতার ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার অ্যাকাউন্টটি মুছে গিয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বরেই সিবিআইকে জমা দেওয়া রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে নিযুক্ত এইমস প্রতিনিধি দলের চিকিৎসকেরা নাকচ করে দিয়েছেন খুনের তত্ত্ব,এমনই উঠে এসেছে মিডিয়া রিপোর্টে। ডক্টর সুধীর গুপ্তের নেতৃত্বাধীন ওই প্যানেলের রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়-গলায় ফাঁস লাগানোর জেরেই এই মৃত্যু, প্রয়াত অভিনেতার শরীরে আর কোথাও কোনও ক্ষত চিহ্ন মেলেনি। এমনকি শরীরে কোনও মাদক বা বিষাক্ত ক্ষতিকর পদার্থেরও কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কোথাও কোনও ধস্তাধস্তির প্রমাণ না মেলায় মনে করা হচ্ছে-খুন নয় আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেতা। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনওরকম আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি সিবিআই বা এইএমসের তরফে।
ইতিমধ্যেই এইমস এর রিপোর্টে অসঙ্গতি দাবি করে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং। ডক্টর গুপ্তের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী।
অপরদিকে মাদককাণ্ডে নার্কোটিকসের জালে ধরা পরে প্রায় এক মাস বাইকুল্লা জেলে কাটানোর পর সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। ছাড়া পেয়েই সিবিআইকে চিঠি লিখে নিজের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন রিয়া। নায়িকার দাবি মিডিয়ায় তাঁর নামে মিথ্যা বয়ান দিয়ে, সুশান্ত মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে সেই প্রতিবেশী।