অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি এবং তাঁর প্রাক্তন (দ্বিতীয়) স্বামী অভিনব কোহলির মধ্যেকার ঝামেলায় এবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে হস্তক্ষেপ করল জাতীয় মহিলা কমিশন। দিন কয়েক আগেই স্বামী অভিনবের অভিযোগের পালটা প্রমাণ হিসাবে নিজের আবাসনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করেন। অস্পষ্ট সেই ভিডিয়োয় জোর করে শ্বেতার কোল থেকে তাঁদের ছেলে রেয়াংশকে কেড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে অভিনবকে। সেই টানা হেঁচড়ার সময় রীতিমতো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শ্বেতা। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিনেত্রী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এটা যদি শারীরিক নির্যাতন না হয়, তাহলে কী?’, এই ভিডিয়োর পরিপ্রেক্ষিতেই এবার নড়েচড়ে বসল জাতীয় মহিলা কমিশন।
এই মামলায় মুম্বই পুলিশের হস্তক্ষেপ চেয়ে ডিজিপি (মহারাষ্ট্র)-কে চিঠি ধরিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। মঙ্গলবার জাতীয় মহিলা কমিশনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ঘটনা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে জানানো হয় সংবাদমাধ্যম মারফত এই ঘটনা তাঁদের নজরে এসেছে, এই মর্মে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রর ডিজিপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবং আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে তদন্ত করে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও কথাও জানিয়েছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা।
জাতীয় মহিলা কমিশনের এই পদক্ষেপ নিয়ে পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অভিনব কোহলি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন- ‘মননীয়া চেয়ারপার্সন (রেখা শর্মা), আমি কোনও ভুল কাজ করিনি। আমি আপনার কাছে ভিক্ষাপ্রার্থনা করছি, দয়া করে আমার ছেলে কোথায় আছে তা ডিজিপিকে অনুসন্ধান করতে বলুন। ছেলেকে আমার হাতে তুলে দিন।’
আপতত খতরোকে খিলাড়ি-তে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন শহরে রয়েছেন শ্বেতা। অভিনেত্রী সেখানে উড়ে যাওয়ার পরপরই তাঁর প্রাক্তন স্বামী অভিযোগ আনেন, ছেলেকে হোটেলে একা ফেলে বিদেশে চলে গেছেন শ্বেতা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে শ্বেতা জানান, রেয়াংশ তাঁর দিদি পলক (শ্বেতার প্রথমপক্ষের মেয়ে) ও দিদিমার কাছে একদম সুরক্ষিত রয়েছে।
অভিনেতা-প্রয়োজক রাজাচৌধুরীর সঙ্গে খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। সেই বিয়ে ভাঙার দীর্ঘ সময় পর ২০১৩ সালে অভিনবকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী, যদিও বিয়ের কয়েক বছরের মাথাতেই তাঁদের দাম্পত্য কলহ প্রকাশ্যে চলে আসে। ২০১৯ সালে ডিভোর্স পাকা হয় শ্বেতা-অভিনবের। তাঁদের একমাত্র ছেলে রেয়াংশ।