এখন সবার অপেক্ষা একটাই ছবির জন্য, পাঠান। কম বেশি সমস্ত সিনেমাপ্রেমীরাই, মূলত শাহরুখ ভক্তরা ২৫ তারিখের জন্য অপেক্ষারত। আর হবে নাই বা কেন দীর্ঘ ৪ বছরেরও বেশি সময়ের পর বড়পর্দায় ফিরছেন কিং খান! সিদ্ধার্থ আনন্দের এই ছবির হাত ধরে কামব্যাক করছেন তিনি। কিছুদিন আগেই এই ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই ট্রেলার দেখে সমস্ত বিতর্ক, তর্ক, নেতিবাচক দিক ভুলে সকলেই তাতে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রশংসা করছেন।
এই ছবির প্রযোজনা সংস্থার তরফে এবার একটি র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডের ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। আর সেখানে পরিচালককে এই ছবির বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরতে দেখা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন চরিত্রের জন্য, চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য, অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য অভিনেতারা কী কী করেছেন। পরিচালক জানিয়েছেন যে আমরা এই ছবিতে যে বাইক স্টান্টগুলো দেখেছি, অন্যান্য যে অ্যাকশন দৃশ্য দেখেছি সেটার জন্য যথেষ্ট কসরত করেছেন অভিনেতারা। শুধু তাই নয়, তাঁরা রীতিমত ট্রেনিং নিয়েছেন। তিনি জানান যে অভিনেতারা কীভাবে বরফে ওপরে বাইক চালানোর, ট্রেনের উপর চড়ার ট্রেনিং নিয়েছেন। এবং এসব তাঁরা করেছেন যাতে অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দারুণভাবে শ্যুট করা যায়।
শুধু তাই নয়, সিদ্ধার্থ আনন্দের কথা থেকে জানা যায়, শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন নাকি এই ছবির জন্য জুজুৎসু পর্যন্ত শিখে ফেলেছেন! এটি একটি জাপানিজ মার্শিয়াল অ্যাক্ট। ছবিতে এমন কিছু নৃশংস, গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো অ্যাকশন দৃশ্য আছে যার জন্য তাঁরা এই দুরন্ত মার্শিয়াল অ্যাক্ট শিখেছেন। একই সঙ্গে পরিচালক জানান যে বলিউডের বাদশাহ তিনমাস সময় নেন তাঁর চুল বাড়ানোর জন্য। এই ছবিতে তাঁর এই বিশেষ লুকটি আনার জন্য তিনি চুল বাড়িয়েছিলেন বলেই জানান পরিচালক। এবং এই ছবির জন্য ২ বছর ধরে প্রস্তুতি চলেছে। এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছবিটির শ্যুটিং করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিদ্ধার্থ আরও জানিয়েছেন যে এই ছবির সব থেকে আনপ্রেডিক্টেবল চরিত্র হল দীপিকা। তার থেকেও নজরকাড়া হল শাহরুখ, দীপিকার রসায়ন। এই ছবিতে তাঁদের সঙ্গে জন আব্রাহামকেও দেখা যাবে। আগামী ২৫ জানুয়ারি বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।