সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যুর প্রথম বার্ষিকীর ঠিক আগেই এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। সুশান্ত মামলায় শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রয়াত অভিনেতার ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার তথা ফ্ল্যাট মেইট সিদ্ধার্থ পিঠানি।
গত ২৬ জুন সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার হন সিদ্ধার্থ পিঠানি। ২-রা জুন পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে থাকবেন এই সন্দেহভাজন। পিঠানির গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং। পাশাপাশি এই মামলায় সিবিআইয়ের ধীর গতিতে চালানো তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও সাফাই দেন তিনি। বিকাশ সিং বলেন, ‘সিবিআই কোনওদিনই চটজলদি চার্জশিট দাখিল করে করবে না, কারণ পরে সেটা বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। তাঁরা সব দিক খতিয়ে দেখবে, তার মধ্যে খুনের দিকটাও অবশ্যই রয়েছে। এসএসআর-এর মৃত্যুটা কিন্তু আজও রহস্য, এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। আর সেই রহস্যটা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অর্ধ-সত্য বা মনগড়া কথা বলে কোনও লাভ নেই। সেই কারণেই সিবিআই সময় নিচ্ছে, এবং আমি আশাবাদী শীঘ্রই আমরা কোনও ফলাফল জানতে পারব’।
অন্যদিকে সিদ্ধার্থ পিঠানির গ্রেফতারি নিয়েও নিজের মতামত জানান বিকাশ সিং। তিনি বলেন, ‘আমি আশা রাখছি যে রহস্য উন্মোচন করতে ওঁনারা সফল হবে, কেন্দ্রীয় সংস্থা কাজ চালাচ্ছে। আমরাও অপেক্ষায় রয়েছি। আর পিঠানির গ্রেফতারি নিয়ে একটাই কথা বলব, বলতে পারেন এটা আদর্শ ন্যায়বিচার- যে অবশেষে ও জেলে গেছে’।
গত বছর ১৪ জুন বান্দ্রার মাউন্ট ব্লাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। সেই সময় ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ পিঠানি, এমনকি মুম্বই পুলিশ ও সিবিআই-কে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী সেদিন পিঠানিই সবার প্রথম সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সুশান্তের মৃত্যু মামলাকে মুম্বই পুলিশ আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে দাবি করেছিল। অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলা যায় সিবিআইয়ের হাতে, ৯ মাস পরেও সিবিআই এখনও স্পষ্ট করেনি সুশান্তের মৃত্যু কি নিছকই আত্মহত্যা নাকি এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনও ফাউল প্লে?
গত বছর ডিসেম্বরে শেষবার এই মামলা নিয়ে আনুষ্ঠিক বিবৃতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছিল, ‘সিবিআই অত্যন্ত পেশাদারভাবে মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সবরকম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কথা মাথায় রেখে। তদন্তের সময় সব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এগোনো হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনাকেই খারিজ করা হয়নি’।