‘পুষ্পা ২’ বক্স অফিসের রেকর্ড ভেঙেই চলেছে। ১০০০ কোটি টাকা আয়ের পথে এই ছবি। তার মধ্যেই অভিনেতা সিদ্ধার্থের ‘পুষ্পা’ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োয় তিনি নভেম্বরে বিহারের পাটনায় ‘পুষ্পা ২’ -এর ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে জড়ো হওয়া দর্শকদের বিষয়ে কথা বলেছেন।
'পুষ্পা ২' -এর ভিড় কোনও বড় বিষয় নয়?
তামিল ইউটিউবার মদন গৌরিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ ‘পুষ্পা ২’-এর ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে প্রবল ভিড় করে আসা দর্শকদের সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘এই সবই বিজ্ঞাপণ। ভারতে ভিড় জমানো বড় কথা নয়। আপনি বাড়ি বানানোর জন্য জেসিবি আনলেও সেটা দেখতে ভিড় জমে যায়। তাই বিহারে ভিড় পাওয়া বড় কথা নয়। ওঁদের (পুষ্পা ২) একটা গান এবং একটা সিনেমা ছিল তাই ঠিক আছে। ভারতে প্রচুর ভিড় জমে। ভিড়ের সঙ্গে কাজের মানের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। যদি তাই হতো তাহলে সব রাজনৈতিক দলই জয়ী হত। আমাদের সময়ে এই ভিড় হত বিরিয়ানি আর কোয়ার্টার প্যাকেট (মদ) পাওয়া নিয়ে।’
আরও পড়ুন: বিয়ে ভাঙল রুবেল-শ্বেতার? জানুয়ারিতে সাত পাকে, গুঞ্জন রটতেই রেগে গিয়ে বললেন, ‘ব্যবসা হচ্ছে…’
বিহারে পুষ্পা অনুষ্ঠান সম্পর্কে
প্রসঙ্গত, ১৭ নভেম্বর পাটনার গান্ধী ময়দানে অভিনেতা আল্লু অর্জুন এবং রশ্মিকা মন্দনাকে এক ঝলক দেখার জন্য প্রচুর দর্শক জমা হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘সরস্বতীকে অসম্মান…’! রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর কোন কাজে এতটা বিরক্ত হলেন সোনু নিগম?
অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হওয়া লোকজনের একাংশ ব্যারিকেড অতিক্রম করে তারকাদের কাছাকাছি যেতে চেষ্টা করে। সেখানে তাঁরা বাধা পেলে জুতা ছুড়ে মারে।
পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। পাটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজীব মিশ্র এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন এবং ব্যারিকেড অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিল তাঁদের কেবল সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গান্ধী ময়দানে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল।’
উল্লেখ্য সম্প্রতি অদিতি রাও হায়দারির সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়েছেন সিদ্ধার্থ। কেমন কাটছে তাঁর বিবাহিত জীবন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বলেন, 'আমরা এখনও দুটি ভিন্ন শহরে। আমাদের তিনটি শহরে তিনটি বাড়ি রয়েছে এবং যখনই আমরা সময় পাই, আমরা একসাথে থাকি। তাই বিয়ের আগের মতোই আছে। আমরা একসঙ্গে যতটা সম্ভব সময় কাটানোর চেষ্টা করছি। তিনি জানিয়েছেন যে, জীবনে তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই এবং নিজেকে 'সুপার প্রিভিলেজড'ও বলেছেন তিনি।
কেন তিনি রাজনীতি বা অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? এই প্রশ্নে অভিনেতার সাফ জবাব, ‘আমি কেবল সিনেমা সম্পর্কে কথা বলব। বাকি জীবনটা কাজে মনোনিবেশ করে কাটাতে চাই। আমি কর্মী হিসেবে পরিচিত হতে চাই না, আমি পরোপকারী হিসেবে পরিচিত হতে চাই না, আমি সাহসী মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে চাই না।’