প্রেম নাকি ফুরিয়ে এসেছে! আর একসঙ্গে নেই সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। এমনই গুঞ্জন দিন কয়েক আগেই ডানা মেলেছিল। তবে রবিবার সব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন ‘শেরশাহ’ জুটি। রবিবার রাতে অর্পিতা খান শর্মা ও আয়ুশ শর্মার ইদের পার্টিতে হাতে হাত ধরে হাজির দুজনে। এদিন পাপারাতজিদের সামনে আলাদা আলাদাই পোজ দেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা, তবে ভিতরে ঢোকেন একসঙ্গে। ভিতরে ঢোকবার সময় মন্ত্রমুগ্ধের মতো সিদ্ধার্থের দিকে তাকিয়ে ছিলেন কিয়ারা।
এদিন সিদ্ধার্থের দেখা মিলল কালো কুর্তা-পাজামায়। কিয়ারা পরেছিলেন সাদা এবং ধূসর রঙা টপ ও প্যান্ট, সঙ্গে একটি লম্বা শার্গ। পার্টির অন্দরে ঢোকবার ঠিক আগের মুহূর্তে কিয়ারার কোমরে নিজের হাতটি রাখেন সিদ্ধার্থ। যা দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল জুটির ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সিদ্ধার্থ-কিয়ারার এই ভিডিয়ো। কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে ফ্যানেদের মন্তব্য। একজন লেখেন, ‘ফালতু যতসব গসিপ রটায় মিডিয়া। যেন খুব তাড়াতাড়ি বিয়েটা সেরে ফেলে দুজনে’। অপর একজন লেখেন, ‘মুখে ঝামা ঘষে দিল তো! গুঞ্জনের শেষ’।
ঠিক কোথা থেকে এবং কেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারার ব্রেকআপের চর্চা শুরু হয়েছিল তা বলা মুশকিল। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা নিয়মিত পরস্পরের পোস্ট লাইক করে চলেছেন। এমনকি শেরশাহ পুরস্কার জেতবার পর কিয়ারা সেই পোস্ট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে নেন।
প্রকাশ্যে কোনওদিনই নিজেদের সম্পর্কে শিলমোহর দেননি সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। তবে তাঁদের প্রেম কাহিনিটা বি-টাউনের ওপেন সিক্রেট। একসঙ্গে লাঞ্চ ডেটে যাওয়া থেকে মলদ্বীপ ভ্রমণ সবই করেছেন তাঁরা। চলতি বছরের শুরুতে রাজস্থানে ছুটিয়ে কাটিয়ে এসেছিলেন দুজনে। ফেব্রুয়ারি মাসে এক অ্যাওয়ার্ড সেরেমানির মঞ্চেও একসঙ্গে হাজির ছিলেন। এরপর থেকে বেশ কয়েকদিন প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা যায়নি, কিন্তু এর জেরে সম্পর্ক ভেঙে যাবে এমনটা মানতে পারছিলেন না জুটির ভক্তরা। অবশেষে স্বস্তিতে তাঁরাও।
আপতত সিদ্ধার্থের হাতে রয়েছে ‘যোদ্ধা’, ‘মিশন মঞ্জু’, ‘থ্যাঙ্ক গড’-এর মতো ছবি। অন্যদিকে ‘ভুলভুলাইয়া ২’-এর প্রচারে ব্যস্ত কিয়ারা। এছাড়াও ‘যুগ যুগ জিও’, ‘গোবিন্দা নাম মেরা’-র মতো ছবি রয়েছে কিয়ারার হাতে।