গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের জয়সলমেরে গাঁটছড়া বেঁধেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আডবানি। রূপকথার বিয়ের পর্ব সেরে মুম্বইতে গ্র্যান্ড রিসেপশন, এরপর বেশকিছু ওয়ার্ক কমিটমেন্ট সেরে ‘মিনি হানিমুন’ কাটিয়ে ফিরলেন জুটি। অজানা গন্তব্যে উড়ে গিয়েছিলেন দুজনে। একান্তে সময় কাটানোর কোনও ঝলকই ধরা পড়েনি জুটির সোশ্যাল মিডিয়ায়। মঙ্গলবার মুম্বই এয়ারপোর্টে একদম ক্যাজুয়াল লুকেই ধরা দিলেন কিয়ারা।
সাদা রঙা স্লিভলেস টপ আর প্য়ান্টে দেখা মিলল কিয়ারার। খোলা চুলে কাপড়ের হেয়ার ব্যান্ড, সঙ্গে সোনালি রঙা ডিজাইনার ব্যাগে অভিনেত্রী। এদিন নব বিবাহিতা কিয়ারার কপালে সিঁদুরের চিহ্ন ধরা পড়ল না। হাতে নেই চূড়া, গলায় নেই মঙ্গলসূত্র। স্বভাবতই নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে পড়তে হল সিদ্ধার্থ ঘরণীকে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ‘কে বলবে কিয়ারা সদ্যবিবাহিত?’ এক নেটিজেন লেখেন, ‘সিঁথিতে সিঁদুর নেই, খালি গলা, হাতে চূড়া নেই- কিয়ারাকে দেখে মোটেই ভালো লাগছে না, এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়’।
এদিন সাদা প্যান্ট আর বেগুনি রঙা টি-শার্টে দেখা মিলল সিদ্ধার্থের। এয়ারপোর্টে ছবি শিকারিদের আবদার মেটান দুজনে। তারকা দম্পতিকে সেলফির আবদার নিয়ে ছুটে আসেন অনুরাগী। নিরাশ করেননি তাঁরা। দাঁড়িয়ে পোজ দিলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা।
রাজস্থানের সূর্যগড় প্রাসাদে পরিবার, নিকট আত্মীয় ও বন্ধুদের নিয়ে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। পর্দার রোমান্স বইছে জুটির শিরায় শিরায়। বিয়ের ভিডিয়োতেও ধরা পড়েছে সেই ঝলক। রূপকথার বিয়েতে গোলাপি লেহেঙ্গায় ‘রাজকন্যে’ কিয়ারা। ‘শেরশাহ’ ছবির গানেই হেঁটে এলেন ‘রাঞ্ঝা' সিদ্ধার্থের গলায় মালা পরাতে। তবে বিয়ের মুহূর্তের কথা মাথায় রেখে নতুন করে লেখা ও রেকর্ড করা হয়েছিল সেই গান। ‘রাঞ্ঝা'র নতুন ভার্সন প্রকাশ্যে এল মঙ্গলবার। যা গেয়েছেন প্রেরণা আরোরা এবং অশ্বিনী বাসোয়া।
বিয়ের পর্ব মেটবার পর ১২ই ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের সাত তারা হোটেল সেন্ট রেজিস হোটেলে বসেছিল জুটির বিয়ের গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। সেখানে হাজির ছিলেন করিনা-করণ, অভিষেক, কাজল-অজয়, বিদ্যা বালান, রোহিত শেট্টি, সঞ্জয় লীলা বনশালি, ভিকি কৌশল, আলিয়া ভাটরা।
‘দ্য লাস্ট স্টোরিজ’-এর পার্টিতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। সেই শুরু প্রেমের। এরপর সম্পর্কের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ‘পার্মানেন্ট বুকিং’ সেরে ফেলেছেন দুজনেই। ৭তারিখ বিয়ের প্রথম ছবি শেয়ার করে কিয়ারা লেখেন, ‘অব হুমারি পার্মানেন্ট বুকিং হো গয়ি হ্যায় (এখন আমরা স্থায়ী ভাবে পরস্পরের)। আমরা আমাদের আগামীর যাত্রায় আপনার আশীর্বাদ এবং ভালবাসা চাই।’