শেরশাহ ওরফে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল রবিবার। সেই উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ পোস্ট করলেন অভিনেতা তথা পর্দার শেরশাহ সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। কার্গিল যুদ্ধের এই নায়কের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন ক্যাপ্টেন বাত্রা মানেই 'সাহসিকতা এবং সম্মান।'
ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রাকে নিয়ে কী লিখলেন সিদ্ধার্থ?
২০২১ সালে OTT মাধ্যমে মুক্তি পায় শেরশাহ ছবিটি। সেখানেই উঠে আসে কার্গিল যুদ্ধের এই নায়কের জীবনের কথা। সেখানেই নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। তাঁর বিপরীতে ডিম্পল চিমার চরিত্রে দেখা যায় কিয়ারা আডবানিকে। এদিন সেই আসল হিরোর জন্য পর্দার হিরো শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বিশেষ পোস্ট করেছেন।
এদিন এক্স অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে সিদ্ধার্থ লেখেন 'পরমবীর চক্র ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা দেখতে দেখতে ২৫ বছর হয়ে গেল আপনার নির্ভীক কাজ এবং আত্মবলিদানের, যা আজ ইতিহাস হয়ে আছে। আপনার লিগাসি এই আজকের দিনে সাহসিকতা এবং সম্মানের ওপর নাম হয়ে রয়েছে।' এই পোস্টের সঙ্গে সিদ্ধার্থ ক্যাপ্টেন বাত্রার একটি ছবিও পোস্ট করেছেন।
প্রসঙ্গত ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা তাঁর জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর রেজিমেন্টের ১৪ ব্যাটিলিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তখনই ৭ জুলাই যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় ক্যাপ্টেন বাত্রার বয়স ছিল মাত্র ২৪ বছর। তাঁকে সর্বোচ্চ যুদ্ধকালীন সম্মানীয় পুরস্কার অর্থাৎ পরমবীর চক্র দিয়ে পুরস্কৃত করা হয় তাঁর মৃত্যুর পর।
শুধুই কি তাই? তাঁর এই সাহসের জন্য একাধিক উপাধিও দেওয়া হয় তাঁকে। টাইগার অব দ্রাস, কার্গিলের সিংহ, কার্গিলের হিরো, ইত্যাদি নামে ডাকা হতো ক্যাপ্টেন বিক্রমকে। একই সঙ্গে তিনি কথায় কথায় যেটা বলতেন, 'ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর' ভীষণ জনপ্রিয় হয়। প্রতি বছর ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল ভারতই।