বাংলা লোকগানের ভক্তদের কাছে বর্তমানে অতি পরিচিত নাম অর্পিতা চক্রবর্তী। বাংলার অন্যতম লোকগান শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তীর সুযোগ্যা কন্যা অর্পিতা। ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’র মতো গান সৃষ্টি করেছেন সুভাষ চক্রবর্তী, তবে পরিচিত মেলেনি। বাবাকে তাঁর যোগ্য সম্মান পাইয়ে দিতেই গত বছর জি বাংলা সারেগামাপা-র মঞ্চে হাজির হয়েছিল অর্পিতা। তাঁর লোকগানের ছন্দে আপামর বাঙালীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
যে শো-এর হাত ধরে অর্পিতার পরিচয়, সেই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধেই সোমবার ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ উগরে দিলেন অর্পিতা। নেপথ্য কারণ? সারেগামাপা-র সাম্প্রতিক এপিসোডে অর্পিতার বাবার গানকে অন্য শিল্পীর বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ অর্পিতা।
রবিবারের (গতকাল) এপিসোড ছিল সারেগামাপা-র মেগা অডিশনের অন্তিম পর্ব। এদিন নদীয়ার পূর্বাশা গানে মুগ্ধ হয়ে যায় বিচারক মণ্ডলী থেকে মহাগুরু পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এদিন শুরুতেই পূর্বাশাকে মহাগুরু প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি লালন ফকির ছাড়া অন্য কোনও বাউলের গান গাও?’ সে পালটা জবাব দেয়, ‘হ্যাঁ, শাহ আবদুল করিমের গান গাই।’ এরপরই ইমনকে বলতে শোনা যায়, ‘খুব ভালো ফাটিয়ে গাও, জমিয়ে গাও’। পূর্বাশা এরপর শুরু করে ‘মকর পরবে মদনা ছোড়া’ গানটি। আর যত্ত গণ্ডগোল তা নিয়েই।
অর্পিতা ক্ষোভ উগরে জানান, ‘এটা আমি জি বাংলা সারাগামাপা-র থেকে আমি আশা করি নি। এই মঞ্চটাকে আমরা পুজো করি। এতো বড় ভুল কী করে হয় আমি জানি না। গত বছর ওই মঞ্চে আমরা, আমি আর দাদা গানটা গেয়েছিলাম। ওখানে বলেওছিলাম যে ওই গানটা আমার বাবা শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তীর সৃষ্টি’।
অর্পিতা যোগ করেন, ‘হয়ত মেয়েটি বলেনি। কিন্তু এডিটিং-এর পর টেলিকাস্টের সময় ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এটা ভুল… আমি গত বছর ওই গানটা গেয়েছি। স্রষ্টাও আপনাদের মঞ্চে গত বছর দু-বার গিয়েছেন। ওটা দেখানো উচিত ছিল যে এই গান সুভাষ চক্রবর্তীর গান… এটা কিন্তু পর ব্লান্ডার'।
যে সমস্ত দর্শকরা জানেন না, তাঁদের কাছে এই বার্তা গিয়েছে যে ‘মকর পরবে..’ গানটি শাহ আবদুল করিমের গান। এটা ঠিক নয়- জানান অর্পিতা। নিজের ফেসবুক লাইভে শো-এর পরিচালক এবং চ্যানেলকে ট্যাগ করেছেন গতবারের জি বাংলা সারেগামাপা-র প্রতিযোগী অর্পিতা।
অর্পিতার আক্ষেপ, ‘আমি জি বাংলার সারেগামাপা-র মঞ্চে গিয়েছিলাম সকলকে এটা জানাতে যে লাল পাহাড়ির দেশে যা, মকর পরবে-র মতো গানগুলি সুভাষ চক্রবর্তী। আমার জার্নিটাই বৃথা হয়ে গেল’।