টেলিভিশনের পর্দায় দুর্নিবারকে প্রথম দেখা মীনাক্ষীর। এরপরই সামাজিক মাধ্যমে খুঁজে বের করেন দুর্নিবারকে। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে দু'জনের প্রথম আলাপ। সেখান থেকে বন্ধুত্ব এবং প্রেম। এভাবেই গল্প শুরু হয় দুর্নিবার সাহা এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের।
পাঁচ বছর আগে ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চে দুর্নিবারকে প্রথম দেখেছিলেন মীনাক্ষী। রূপকথার গল্পের মতো একে অপরের কাছাকাছি আসেন। সম্পর্কের দু'বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০১৭ সালে আইনি মতে বিয়ে সেরে ফেলেন তাঁরা। এবার ঘটা করে ছাদনা তলায় চার হাত এক হবে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সামাজিকভাবে বাঙালি রীতি মেনে বিয়ে করছেন।
দু'জনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলবে তিনদিন ধরে। বিয়েতে কী কী করবেন? সেই পরিকল্পনা করেছেন দু'জনে মিলেই। ২০ ফেব্রুয়ারি হবে আইবুড়ো ভাত, মেহেন্দি, সংগীত অনুষ্ঠান। ২১ ফেব্রুয়ারি সাবেকি বাঙালি নিয়মে হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। বৌভাত হবে ২৩ জানুয়ারি। সংগীতে অনুষ্ঠানে বন্ধুদের পাশাপাশি তাঁরা নিজেরাও পারফর্ম করবেন। বিয়ে এবং রিসেপসনের অনুষ্ঠান হবে নিউ টাউনের ‘স্বপ্নভোর’-এ।
বিয়েতে সাবেকি সাজে সাজবেন দু'জনেই। দুর্নিবার পরবেন ধুতি এবং পঞ্জাবি, মীনাক্ষী পরবেন লাল বেনারসি। অন্যদিকে, রিসেপশনের দিন নতুন বর পরবেন টাক্সিডো এবং নতুন বৌয়ের দেখা মিলবে ডিজাইনার শাড়িতে।
হবু বর-কন বলেছেন, ‘বিয়ের দিন অতিথি আপ্যায়ন হবে জিরা রাইসের সঙ্গে মটন কষা এবং চিংড়ি মাছের মালাইকারিতে। সবটাই হবে বাঙালি খাওয়ারের মেনু। বৌভাতও হবে রাজকীয় মোঘলাই মেজাজে। বিরিয়ানি, কাবাব আর ফিরনিতে হবে রসনাতৃপ্তি।' কোভিড বিধি মেনে শুধুমাত্র নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুরা স্বল্প সংখ্যক লোক নিয়ে হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। মধুচন্দ্রিমার জন্য কোথায় যাবেন, এখনও কোনও প্ল্যান করেননি তাঁরা।