গত ৯ মার্চ দ্বিতীয়বার সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। বিয়ে করেছেন খোদ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন সংযোগ আধিকারিক মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলা সেনকে। ঘটা করেই হয়েছে বিয়ে, খবর অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিদেশের একটি নির্জন দ্বীপে মধুচন্দ্রিমা কাটানোর কথা তাঁদের। তবে সেটা কোথায়, তা গোপনই রেখেছেন নব-দম্পতি।
তবে মোহর কিংবা দুর্নিবার দুজনের কেউই সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুচন্দ্রিমার ছবি পোস্ট করেননি। তাই অনেকেরই প্রশ্ন তবে কি শেষপর্যন্ত তাঁদের মধুচন্দ্রিমায় যাওয়াতে কোনও ব্যাঘাত ঘটেছে! এসবেরই মাঝে শুক্রবার হঠাৎই নিজের ফেসবুকের পাতায় মোহর সেন লিখেছেন, ‘চাইলেও হানিমুনের ছবি পোস্ট করতে পারছি না, আপনাদের জন্য। বলে রাখি, পাত্তা দিচ্ছি ভাববেন না। নিজের এবং আপনজনের শান্তিতে প্রাধান্য দিয়েছি, দেব।’
এদিকে এমন পোস্টের পরও কিছু নেটনাগরিক মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। তবে আবার অনেকেই ঐন্দ্রিলা-দুর্নিবারের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। কেউ হাসির ছবি দিয়েছেন, কেউ আবার লিখেছেন, ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’। কেউ আবার বেশি না ভেবে ঐন্দ্রিলাকে ছবি পোস্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন। এসবের মাঝে বাচিক শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় কমেন্ট লিখেছেন, ‘আমার কষ্টটা কেউ যদি বুঝত।’ উত্তরে ঐন্দ্রিলা তাঁকে লিখেছেন, ‘আমি বুঝি।’
আরও পড়ুন-তোমার সূত্রেই কাজ করছি আমির-সইফের সঙ্গে, ইলিশটা বকেয়া রয়ে গেল প্রদীপদা: শ্রীলেখা
আরও পড়ুন-‘আব্বা, তুমি তো আমাদের সঙ্গে থাকো না, তাহলে…’, সইফকে ব্ল্যাকমেইল করতেন নাকি সারা
এদিকে দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ের খবর সামনে আসার পর থেকে গায়ক ও তাঁর হবু স্ত্রী মোহরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। এরপর বিয়ের ছবি সামনে আসার পর থেকেই সে আক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে দুর্নিবার ও মোহরের সুজয় প্রসাদ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুর্নিবার বলেই হয়ত এত সমালোচনা। কে কতবার বিয়ে করবে, সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে দুর্নিবারই প্রথম এর আগে কেউ একাধিক বিয়ে করেননি এমনটা তো নয়! কিশোর কুমার তো নিজেই ৪টে বিয়ে করেছিলেন। এছাড়া আরও অনেকেই আছেন। এতে নেটিজেনদের সমস্যা কোথায় বুঝতে পারছি না।'