SaReGaMaPa-Haimanti Sukla: বর-সন্তান না থাকার আফশোস নেই মনে! সারেগামাপা-য় কাকে ‘ছেলে’ বলে ডাকলেন হৈমন্তী

সারেগামাপা-য় এসেছিলেন হৈমন্তী শুক্লা। সেখানে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান দেওয়া হয়। বর্ষীয়ান গায়িকার গাওয়া বিখ্যাত গানগুলি গাইতে দেখা যায় প্রতিযোগীদের। দেখুন তাঁরই ঝলক-

দাদাগিরি শেষ হওয়ার পর জি বাংলায় শুরু হয়েছে সারেগামাপা লেজেন্ডস। যেখানে স্বর্ণযুগের শিল্পীদের জানানো হচ্ছে সম্মান। চলতি সপ্তাহের সারেগামাপা-তে হাজির ছিলেন হৈমন্তী শুক্লা বিশেষ অতিথি হয়ে। তাঁর গাওয়া গানের মাধ্যমে এদিন সম্মানিত করা হয় বর্ষীয়ান শিল্পীকে।

গোল মুখ, সঙ্গে সবসময় হাসিখুশি চেহারা, কপালে বড় টিপ, হৈমন্তী শুক্লার আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার দরকার পড়ে না। ১৯৭২ সালে তাঁর প্রথম রেকর্ড করা গানটি ছিল এ তো কান্না নয় আমার। তারপর থেকে কয়েক শো গান উপহার দিয়েছেন তিনি শ্রোতাকে। বাংলা রাগপ্রধান থেকে নজরুলগীতি, সবাই তাঁর গালয় পায় আলাদা মাধুর্য। কলাকার পুরস্কার পেয়েছেন কালাকার-সহ অকাধিক পুরস্কার।

সারেগামাপা-তে হৈমন্তী শুক্লাকে দেখা গেল ক্রিম রঙের লাল পাড়ের শাড়িতে। ‘খুব ভালো লাগছে একটা বিষয় যে, এখনকার বাচ্চারা আমার ৭০-৮০র দশে গাওয়া গান মনে রেখেছে। খুব সুন্দর করে গাইছে।’ এরপর সঞ্চালক অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অনুরোধে গেয়ে শোনান, ‘এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে…’

এরপর অনির্বাণ জানান, এদিনের অপিসোডের পুরো পরিকল্পনা করেছেন সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। যা শুনে হৈমন্তী বলে ওঠেন, ‘ইন্দ্রদীপদা তো আমার ছেলের মতো। ওর সুরে কত গান গেয়েছি। সেসব গানগুলো তখন এফএমে বাজত বলে, লোকের মুখে মুখে ফিরত। একন কী হয়েছে, ওই একটা আঙুল টিপলেই বেরিয়া আসছে, আমার ভালো লাগে না রে…’

এরপর ইন্দ্রদীপ হৈমন্তীকে উত্তরীয় পরিয়া সম্মান জানালে তিনি বলে ওঠেন, ‘আমার ছেলে আমাকে উত্তরীয় পরাচ্ছে। এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে!’

কদিন আগে তিনি এসেছিলেন দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘গান ছাড়া আমার কোনও কিছুই ভালো লাগে না। এই যে সংসারী হইনি, তোমরা সবাই জিজ্ঞাসা করতে পারো! আসলে এই গানটার সঙ্গেই আমার গভীর প্রেম। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে আমাকে। কখনও মাথাতেও আসেনি যে, গানই করলাম সংসার করলাম না। আমার স্বামী-সন্তান বা ছেলেপুলে হল না এভাবে ভাবিনি। আমার কত যে ছেলেপুলে। কত লোক যে আমাকে মা বলে ডাকে।’