বেশ কিছু বছর হল বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ইমন চক্রবর্তী। শোভনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর তাঁর জীবনে বসন্তের ছোঁয়া এনেছিলেন নীলাঞ্জন। তাঁরা একে অন্যের হাত ধরে একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার নেন। সেই প্রমিজ রেখেই দুজনে এখন ফাটিয়ে সংসার করছেন। তবে যতই বিয়ে হয়ে যাক না কেন গায়িকা একবার দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে জানান যে তাঁর বা তাঁর স্বামী, নীলাঞ্জন, কারও জীবনেই কোনও পরিবর্তন আসেনি।
দিদি নম্বর ওয়ানের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ইমনকে তাঁর বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তখন তিনি জানান যে তেমন কোনও বদল আসেনি জীবনে। আসলে তিনি আর নীলাঞ্জন দুজনেই চেয়েছিলেন যাতে বিয়ের পর খুব বেশি বদল তাঁদের জীবনে যেন না আসে। সেই মতো থাকারই চেষ্টা করেন তাঁরা। দুজনেরই বাবা আছেন, মা নেই। তাঁদের নিয়েই থাকা। ফলে পরিবর্তনের বদলে জীবনে কেবল কিছু সংযোজন হয়েছে বলেই জানান গায়িকা।
রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে এসে গায়িকা ভীষণ ধীর স্থির হয়ে এদিন কথা বলেন। তখন এর কারণ জানতে চান রচনা। উত্তরে তিনি বলেন এখন তিনি শান্ত হয়ে গিয়েছেন। এরপরই একে একে উঠে আসে বৈবাহিক জীবনের গোপন রহস্য। তিনি জানান একবার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পর নীলাঞ্জন যখন জানতে চান যে চিকিৎসক কী বলেছেন তখন তিনি বলেন যে কম কথা বলতে বলেছেন সেটা শুনে নাকি তিনি বেজায় খুশি হয়ে যান! আসলে স্ত্রী বেশি বকবক করলে কোন স্বামীর আর ভালো লাগে! নীলাঞ্জনও তার ব্যতিক্রম নন।
তবে ইমন তেমন কিছু না বললেও নীলাঞ্জন কিন্তু স্ত্রীর সম্পর্কে এদিন হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেন। বলেন কোথাও বেরোনোর সময় নাকি ইমন সবার আগে বলেন যে তাঁর কাছে পরার মতো কোনও পোশাক নেই নাকি! জানান তাঁর স্ত্রী ভীষণ লেট করে। সবশেষে তিনি একটাই মন্তব্য করেন, বলেন ভাগ্যিস আমার এত ধৈর্য!
তবে স্ত্রীর ব্যাপারে যতই অভিযোগ জানান নীলাঞ্জন আদতে যে তাঁদের সম্পর্কটা মিষ্টি মধুর এবং খুনসুটিতে ভরা সেটা তাঁদের কথাতেই এদিন ধরা পড়ে।